এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,০৩ নভেম্বর : ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের(আইডিএফ) গাজায় সাম্প্রতিক স্থল অভিযানে ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের ১৩০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছে । বৃহস্পতিবার আইডিএফ মুখপাত্রের ইউনিট এই খবর জানিয়েছে । তারা আরও জানায় যে তারা গাজায় সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোও বের করে ফেলেছে এবং হামাসের অপারেটিং ঘাঁটির পাশাপাশি অনেক অস্ত্রের ভাণ্ডার ধ্বংস করেছে । আইডিএফ মুখপাত্র বলেছেন,’আইডিএফ যোদ্ধারা গাজা উপত্যকায় হামাস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ।’ তবে এই অভিযানে ১৭ জন সৈন্য শহীদ হয়েছেন । আইডিএফ জানিয়েছে যে রামাত গানের লেফটেন্যান্ট (অবসরপ্রাপ্ত) ইউভাল জিলবারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে । এদিকে আইডিএফ হামাসের ঘাঁটিতে বিমান, স্থল ও সমুদ্র বাহিনীর সমন্বয়ে আঘাত হানছে । যুদ্ধে নিহত সৈন্যের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের দিকে আসছে বলে জানা গেছে ।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননে একটি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল লঞ্চারে হামলা করেছে । বন্দুকধারীরা হারমন পর্বতের কাছে একটি ইসরায়েলি ইউএভি নিশানা করার পরে এই হামলা চালানো হয় । মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার বলেছেন যে তিনি মানবিক সহায়তা ‘বিরতি’কে সমর্থন করেছেন যা হামাসের দ্বারা অপহৃতদের মুক্ত করতে সহায়তা করবে । এদিকে অপহৃতদের সন্ধান পেতে গাজার ওপর নজরদারি ড্রোনের সাহায্যে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে মার্কিন সেনা । নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন,অপহৃতদের অবস্থান জানতে যুক্তরাষ্ট্র গাজার উপর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকারী ড্রোন ওড়াচ্ছে । একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ড্রোন উড়ান চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার গাজা শহর ঘেরাও করে – গাজা উপত্যকার প্রধান শহর – হামাসের সন্ত্রাসীদের দ্বারা ভূগর্ভস্থ টানেল থেকে আইডিএফ বাহিনীর উপর অতর্কিতে আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পালটা আক্রমণ করে আইডিএফ । বর্তমানে গাজার উত্তরের শহরটি ইসরায়েলের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে । এই এলাকাতেই রয়েছে ফিলিস্থিনি ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কমান্ড কাঠামো । সেগুলি ধ্বংস করার জন্য হামলা আরও তীব্র করার কথা জানিয়ে বেসামরিকদের দক্ষিণে পালিয়ে যেতে বলেছে আইডিএফ ।
হামাস সন্ত্রাসীরা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে একটি আকস্মিক হামলা চালায়,১,৪০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করে,যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, এছাড়া ৩৩২ জন সৈন্য রয়েছে, ২৪২ জনকে অপহরণ করা হয়,তার মধ্যে চারজনকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে ।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, দেশের ৭৫ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক দিন ছিল ৭ অক্টোবর দিনটি ।।