এইদিন ওয়েবডেস্ক,প্যারিস,০১ নভেম্বর : ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসকে খতম করার জন্য ইসরায়েলি অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কট্টরপন্থী মানসিকতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে । ফিলিস্থিনের সমর্থনের নামে পথে নেমে কার্যত হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জানাতে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের তাবড় দেশগুলির মুসলিমদের । বাদ নেই ভারতও । অবশ্য ভারতের হামাসপন্থী মুসলিমরা প্রচ্ছন্ন সমর্থন পেয়ে যাচ্ছে বামপন্থী ও কংগ্রেসের মত রাজনৈতিক দলগুলির । ভারতে হামাসপন্থীদের বিরুদ্ধে নরম মনোভাব দেখা গেলেও জার্মানি,ফ্রান্সের মত ইউরোপীয় দেশগুলিকে কঠোর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে । মঙ্গলবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি ট্রেনে এমনই এক হামাসপন্থী বোরখাধারী মহিলাকে গুলি করেছে পুলিশ ।
একটি পুলিশ সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে যে আপাদমস্তক বোরখায় ঢাকা ওই মহিলা প্যারিসের একটি ট্রেনে উঠে সন্ত্রাসবাদের সমর্থনে বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা বলতে শুরু করে । সে “আল্লাহু আকবার” (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলে চিৎকার করেছিল এবং নিজেকে আত্মঘাতী বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল ।
পুলিশ জানিয়েছে,শহরতলির ট্রেনের এক যাত্রী জরুরি পরিষেবায় ফোন করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে মহিলা হুমকি দিচ্ছেন। এরপর দক্ষিণ-পূর্ব প্যারিসের ফ্রাঙ্কোইস মিটাররান্ড জাতীয় গ্রন্থাগারে পরিষেবা দেয় এমন একটি মেট্রো ট্রেন স্টেশনে পুলিশ মহিলাটিকে বিচ্ছিন্ন করে ।
একটি পুলিশ সূত্র অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছে যে পুলিশ মহিলাকে বারবার সতর্ক করে । কিন্তু সে পুলিশের কথায় কোনো গুরুত্ব না দিলে বাধ্য হয়ে পুলিশ মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় । আহত মহিলাকে প্যারিসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, পুলিশ দুটি তদন্ত শুরু করেছে। একটি মহিলার ক্রিয়াকলাপ বিবেচনা করবে, অন্যটি নির্ধারণ করবে যে পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ন্যায়সঙ্গত কিনা।
এদিকে এই ঘটনায় স্টেশনটি দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল এবং শহরতলির রেল লাইনে যান চলাচল ধীর হয়ে যায়।
উল্লেখ্য,গত ১৩ অক্টোবর থেকে ফ্রান্সে “আক্রমণ সতর্কতার” অধীনে রয়েছে । ওইদিন ফ্রান্সের উত্তরের শহর আরাসে ফরাসি ভাষার শিক্ষক ডমিনিক বার্নার্ডকে একজন মুসলিম যুবক এবং ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল । এছাড়া আরও তিনজন আহত হয় ওই ঘটনায় । যাকে সরকার একটি ইসলামি সন্ত্রাসী আক্রমণ বলে চিহ্নিত করেছিল ৷ ওই ঘটনার আগে থেকেই হামলাকারী ইসলামিক উগ্রপন্থী সন্দেহে পুলিশের নজরদারিতে ছিল । ফরাসি সন্ত্রাসবিরোধী তদন্তকারীরা বলেছেন যে ওই সন্ত্রাসী উত্তর ফরাসি শহর আররাসে হামলার আগে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেছিল ।।