পড়ন্ত বিকেলে রোদ মেখে গায়ে ,মেয়েটি দাঁড়িয়ে ছিল মন্ডপের এক কোনায়!
সিঁদুর খেলায় মেতেছে পাড়ার যত নারী !
আলতা পা, রাঙা শাড়ি আহা রূপ বাহারি !
ঢ্যাম কুড় কুড় বাদ্যি
বাজছে নাচের তালে, আবাল বৃদ্ধ বনিতারা নাচছে দুহাত তুলে !
মেয়েটি এগিয়ে এলো গুটিগুটি পায় !
সিঁদুর খেলায় সেও যে ভাগ নিতে চায় ।
প্রশ্ন ওঠে কে মেয়েটি ?
সে তো অবিবাহিতা, কোথায় তোমার শাঁখা সিঁদুর
তুমি কার স্ত্রী ?
হ্যাঁ আমি পতিতা প্রতিরাতে হই বিবাহিতা!!
আমার ভিটের মাটিতে হয় প্রতিমা গড়া
তবে কেন হব আমি অবাঞ্ছিতা ।
চোখের জলে হয়েছে আমার শুদ্ধিকরণ
মায়ের আশীর্বাদে আমিও করব বরণ ।
আমারও সাধ জাগে মায়ের সাথে সিঁদুর খেলি
ইচ্ছে গুলো দেব না আর জলাঞ্জলি !
দুচোখ বেয়ে নামে জলের ধারা
বিদায়ের সুর বাজলো এবার বিসর্জনের পালা।
ধ্বনিত হচ্ছে দিকে দিকে আসছে বছর আবার হবে !
মানছে না কোন নিষেধ কোন মানা
উঠলো এবার মায়ের সাথে যাবে সেও গঙ্গাঘাটে, চারিদিকে উদ্যাম নৃত্য আলোর রোশনাই
মেয়েটি এগিয়ে চলে গঙ্গায় যেন কোন হুঁশ নাই !
মৃন্ময়ী মূর্তির হলো বিসর্জন চিন্ময়ী মাও তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গায় করজোড়ে করে নমন।।