এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,২৯ অক্টোবর : ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের নাশকতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ ইহুদি-বিরোধী নৃশংসতার অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ দীর্ঘ এবং কঠিন হবে বলে সতর্ক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু । ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স আজ রবিবার গাজায় তার হামলা জোরদার করার পর উত্তর গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নেতানিয়াহু ।
ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে যুদ্ধ এখন “দ্বিতীয় পর্যায়ে” প্রবেশ করেছে, হামাস পরিচালিত ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে তাদের স্থল অভিযান জোরদার করেছে ।
গত ৭ অক্টোবর হামাস সন্ত্রাসীরা বন্দুকধারীরা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে ১,৪০০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং ২৩০ জনকে অপহরণ করার পর গাজায় হামাসের ঠিকানায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল ।
ইসরায়েলি সৈন্যরা আনুমানিক ২০ জন হামাস সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে, যারা উত্তর গাজা উপত্যকার একটি টানেল থেকে বেরিয়ে এসে ইসরায়েলে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল । এখন গাজায় হামাসের গোপন টানেল ধ্বংস করার দিকে নজর দিয়েছে আইডিএফ সৈন্য । টানেল ধ্বংসের জন্য ইসরায়েলের সবচেয়ে মারাত্মক অস্ত্র স্পঞ্জ বোমা ব্যবহার করা হবে বলে খবর ।
এদিকে আল-কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল । ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট বলেছে যে তারা “আল-কুদস হাসপাতালকে অবিলম্বে খালি করার কঠোর হুমকি পেয়েছে কারণ হাসপাতালে বোমা হামলা করা হবে।” আইডিএফের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে একটি উচ্ছেদের আদেশ জারি করা হয়েছে কিন্তু তিনি ভবিষ্যতে হাসপাতালে বোমা বর্ষণের সম্পর্কে মন্তব্য করেননি। মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন যে হাসপাতালটি গাজার অন্যান্য হাসপাতালের মতোই হামাসের অন্যতম আবাসস্থল ।
এদিকে দীর্ঘ ২৩ দিন যুদ্ধের পর তীব্র খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে গাজায় । খাদ্যের এতটাই অভাব যে গাজা উপত্যকার কেন্দ্র ও দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (UNRWA) এর গুদামে রাখা মিশর থেকে আগত মানবিক কনভয় থেকে সরবরাহ করা খাদ্যসামগ্রী লুটপাট চালিয়েছে হাজার হাজার গাজাবাসী ।
ইউএনআরডব্লিউএ বলছে,ময়দাসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী এবং ওষুধপত্রের মত জরুরি সামগ্রী বিতরণের জন্য গুদামে মজুত করে রাখা হয়েছিল । কিন্তু সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে জনতা । এটি একটি উদ্বেগজনক লক্ষণ যে তিন সপ্তাহের যুদ্ধ এবং গাজায় কঠোর অবরোধের পর বেসামরিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে ।।