মেয়েটা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে আমার মত হবে
আমার অবস্থান বোধহয় ওর বড্ড বেশি পছন্দের।
সকাল থেকে সন্ধ্যা– দিন ফুরিয়ে রাত
সারাক্ষণ চলেছে ওর প্রচেষ্টা আমাকে নকল করার।
মাঝেমাঝে মনে হয় আমার আমিটা-কে
পারলে ছিনিয়ে নেয়– অদ্ভুত ঠান্ডা প্রতিযোগিতায়
আমাকে সামনে রেখে প্রেরণা বানিয়ে
এগিয়ে চলেছে সম্মুখপানে—
ও কি জানেনা এই পথচলার নেই কোনো ভবিষ্যৎ !
নিজের আসন খোয়ানোর ভয় হয়না
বরং আমার হাসি পায় ওর জন্য অন্তরভরা করুণায়।
তাইতো, আমি হাওয়ায় হাওয়ায় বার্তা পাঠিয়েছি
মেয়ে তুই যা পেয়েছিস সেটা নিয়েই এজন্মে সন্তুষ্ট থাক্ !
আমার মতো চাসনা হতে,পারবিনা তুই থাকতে টিকে–
বলতে পারিস এটাই আমার বদান্যতা–
আমি নিজের মত থাকতে চাই
অন্যকারো মতো হবার কিংবা–
শ্রেষ্টত্বের আসন দখলকরার নেই তো কোনো অভিপ্রায়।
সে ভাবলো আমি অভিশাপ দিলাম শুভকামনা স্বরূপ !!
কিন্তু বিশ্বাস করো,ওরজন্য ভীষণ ভয় হয় !!
আমার দূর্ভাগ্য যদি ওকে পছন্দ করে নেয় ??
মেয়েটা বোঝেনা তলিয়ে যাবে অতলে খড়কুটো পাবেনা।
ভালোবাসার মানুষ–ঈশ্বরতুল্য প্রেমিক স্বামী, সন্তান,
আত্মীয়-পরিজন নিয়ে ওর যে ভরপুর সংসার–
মেয়ে তুই ভালোবেসে সবটুকু আঁকড়ে যত্নে আগলে রাখ।
শোন মেয়ে সবাই তোকে বলবে–
ভেঙে ফেলার কথা, আমি বলবো–
কম্প্রোমাইজ নয় শুধু ঐ একটুখানি অ্যাডজাস্টমেন্ট !
ওটাই সুখী-যাপনের মূলমন্ত্র একসাথে থাকতে।
নিজের শ্রেষ্টটুকু শুধু দিয়ে যাহ–
ফল একদিন পাবিই, যদি না পাস!
তবে জানবি খামতি ছিল তোর-ই কোথাও একটা —
নিজের অপ্রাপ্তির অভিযোগ অন্যের উপর বর্তাস না।
সকলেই এখানে নিজের নিজের
উপন্যাস রচনায় অধ্যায়ে অধ্যায়ে গড়ার গল্প শোনাবে।
বিশ্বাস কর এই পৃথিবীতে কেউই
গড়ার সময় তোর পাশে দাঁড়িয়ে শক্ত করে হাতটা ধরবেনা।
আজ আমি আর আমার সত্ত্বা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে–
মাঝে কাঁচের প্রাচীরে কল্পকথা’র পারদ লেপন !!
প্রতিবিম্ব সুষ্পষ্ট.. আমি হতভম্ব নির্বাক–
সময়ের ব্যবধানে ফোনকল আমার চেনা সম্বিত ফেরায়।।