দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৬ অক্টোবর : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে মাস পাঁচেক আগে দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছেন স্ত্রী । সেই অভিমানে দুর্গোৎসব চুকতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের এক যুবক । পুলিশ জানিয়েছে, বছর ২৮ এর ওই যুবকের নাম হরি দাস । তার বাড়ি ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামের কলাইডাঙ্গা পাড়ায় । আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজের শোবার ঘরের সিলিং থেকে যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন । তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ভাতার হাসপাতালে আনা হয় । কিন্তু চিকিৎসকরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে । পরে হাসপাতাল কর্তপক্ষের কাছ থেকে খবর মৃতদেহটি উদ্ধার করে আনে পুলিশ ।
জানা গেছে,বড়বেলুন গ্রামের কলাইডাঙ্গা পাড়ার বাসিন্দা হরি দাস জনমজুরের কাজ করতেন । বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা বিধবা মা লক্ষী দাস,নাবালক ভাই ও এক দাদা । দাদা বিবাহিত । বছর ৭-৮ আগে ভাতার থানার হাটকানপুর গ্রামের মেয়ে পূজা দাসের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় হরি দাসের । তাদের এক নাবালক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে মাস পাঁচেক আগে দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান পূজা দাস । তারপর থেকে তিনি আর শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেননি । এদিকে স্ত্রী ও সন্তানরা না থাকায় মনমড়া হয়ে পড়েছিলেন হরি । বুধবার রাতে যথারীতি খাওয়া দাওয়ার পর নিজের ঘরে ঘুমতে চলে যান হরি । এদিন অনেক বেলা পর্যন্ত তিনি ঘরের দরজা না খোলায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয় । শেষে দরজার খিল ভেঙে ঘরে ঢুকতেই ঘরের সিলিং-এর সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় যুবককে ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন । পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করেছে । দুর্গোৎসবের আবহে মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায় ।।