এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোয়েম্বাটুর,২৬ অক্টোবর : ইসরায়েলের সাথে ভারতকেও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বললো তামিলনাড়ুর মুসলিম নেতা । গত ২৪ অক্টোবর ফিলিস্থিনের সমর্থনে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের উক্কাদামে একটা বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল । হাজার হাজার মুসলিম মহিলা ও পুরুষ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাতে উক্কাদাম ভ্যালিয়ামাই বেকারির সামনে জড়ো হয়েছিল। ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল কোয়েম্বাটোর সুন্নাত জামাত পলিসি ফেডারেশন, জামাআতুল উলামা সভা, আইইউএমএল, ডিএমইউকে, এসডিপিআই, মানিধানেয়া মক্কাল কাচ্চি, মানিধনেয়া জননায়ক কাচ্চি, তাওহীদ জামাত, এবং ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার মত ইসলামী সংগঠনগুলি । বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক মুসলিম মহিলাও অংশ নিয়েছিল । তারা স্লোগান দেয় ‘জায়নবাদী গোষ্ঠীর পতন হোক’,’ইনকিলাব ইনকিলাব, ফিলিস্তিন ইনকিলাব’,’লাল সালাম, আসসালাম, ইন্তিফাদা ইনকিলাব’ প্রভৃতি । স্পষ্টতই এই স্লোগানগুলি জেএনইউতে তোলা স্লোগানের কথা মনে করিয়ে দেয় ।
তবে ইলিয়াজ রিয়াজি নামে মান্দাভেলির একজন ইমামের বক্তব্য সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় । ওই ইমান নিজের দেশকেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলে অবিহিত করেন । ইমামের বক্তব্য হল,’পুরো বিশ্বে মাত্র ২টি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আছে। একটি ইসরায়েল এবং আমরা অন্যটিতে বাস করছি, তবে আমি এটিকে ভারত বলব না । আমি একে ভারত বলব না কারণ ভারত সবসময় শান্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভারতে অনেক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, নেহরু থেকে শুরু করে মনমোহন সিং পর্যন্ত, অনেক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন । তাদের কেউই ইসরায়েলে সরকারি সফরে যাননি। কিন্তু মোদি ইসরায়েলে সরকারি সফরে গেছেন। তার সফরের সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “একজন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ইজরায়েল সফরের জন্য আমাদের 70 বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে”। ইসরায়েলের ৭০ বছরের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করলেন মোদী ।’
একজন সাংবাদিক ওই ইমামের বক্তব্যের ভিডিও ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে শেয়ার করে লিখেছেন,’ডিএমকে নির্বাচনের আগে তামিলনাড়ুতে সম্পূর্ণভাবে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের অনুমতি দিচ্ছে !
এই লোকটি বলেছেন “এই পুরো বিশ্বে মাত্র ২ টি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র রয়েছে। একটি হল ইসরায়েল এবং আমরা অন্যটিতে বাস করছি, কিন্তু আমি এটাকে ভারত বলব না”। এটা হল সাম্প্রদায়িক বিরোধী জাতীয় মেরুকরণ এবং এই লোকটি রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে দোষী !’
প্রসঙ্গত,তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এবং তার ছেলে রাজ্যের মন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন সহ রাজনৈতিক দলগুলি প্রকাশ্যে ফিলিস্তিন এবং হামাসের সমর্থনে বেরিয়ে এসেছে । এর আগে উদয়নিধি হিন্দু ধর্মকে ‘ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া’র সঙ্গে তুলনা করে হিন্দু ধর্মকে ‘খতম’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন । এসবই আসন্ন নির্বাচনের আগে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করার জন্য স্ট্যালিনরা রাজ্য জুড়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠছে ।।