বিজয়া মানে নয় যে বিদায়ের তরে বেদনার সুর
শেষ হল যেন অশুভ শক্তির পরাজয়ের ক্ষণ
শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা শেষে মায়ের ফিরে যাওয়া…
দিয়ে গেলো যেন চিত্তমাঝে নতুন এক বরাভয়ের পণ।
চোখের জলের ঢেউয়ের উছলে পড়া স্রোতে
মন মানে না তবুও দেবে সে আজ পাড়ি
চারটে দিনের তরে মর্ত্যলোকের সুখ দুঃখ শুনে…
পিছু টানে সেই যে আবার শ্বশুর বাড়ি।
বাপের বাড়ির আদর খেতে আসা
বিশ্বজুড়ে তাকিয়ে থাকে ধরার ধূলিকণা
পবিত্র ছোঁয়ায় বিনাশ করবে অশুভ শক্তির তেজ
“ভরা থাক স্মৃতিসুধায় বিদায়ের পাত্রখানি” হয়ে আজ আনমনা।
আলাপনে সাঙ্গ হোল বিদায়বেলার গল্পগাঁথা
রেখে গেল মা ধরার বুকে
স্নেহের আঁচল খানি
আর্শীবাদের বন্যা ধুয়ে দিল যতো জঞ্জাল
বিসর্জনের দুঃখ ভুলে আসবে আবার জানি।
অপেক্ষার এই প্রহর গোনা অযুতবর্ষের তরে
কাল থেকে মহাকাল যুগ যুগান্তরের ইতিহাস
অকাল বোধন শরতের বুকে আগমনী মা…
অসুর দলনে প্রকৃতি নিয়েছে শ্বাস।
তাই তো মা আড়ালে চোখ মুছে বলি
আছো বলেই তুমি বুকের পাঁজরে সাহস যোগাই
পৃথিবীর বুকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালিয়ে…
নারীজাতির আজ সম্মানটুকু শুধু চাই।
বিরামহীন তোমার আসা যাওয়ার এই ভেলায়
শিশির সিক্ত হৃদয়ে তোমার করুণার আঁচল
মুছিয়ে দেয় বুকের হাজার দগ্ধ ক্ষত যন্ত্রণা…
বিজয়ার এই সুলগন যেন বাড়ায় বুকের বল।।