এইদিন ওয়েবডেস্ক, ভাতার (পূর্ব বর্ধমান), ২৩ অক্টোবর: আশ্রমের আয় বলতে তেমন কিছু নেই।পুজোয় সরকারি অনুদানও মেলেনি। ভক্তদের চাঁদা থেকেই প্রথামাফিক দুর্গাপুজো হয়ে আসছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের সোতখালির পঞ্চানন আশ্রমে। উল্লেখ্য সোতখালি পঞ্চানন আশ্রমে বছরে দুইবার দুর্গাপুজো হয়। শারদীয়ায় অকালবোধনের পুজোর পাশাপাশি বাসন্তীপুজো করা হয়।
ভাতার বাজার পেড়িয়ে ভাতার মালডাঙ্গা সড়কপথের পাশে সোতখালি গ্রামে পঞ্চানন আশ্রম। জানা গিয়েছে ১৫১ বছর আগে সনাতন ধর্মগুরু সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আশ্রম প্রতিষ্ঠার পর তিনিই সোতখালির আশ্রমে দুর্গাপুজো শুরু করেন। সীতারামদাস ওঙ্কারনাথের আমল থেকেই সোতখালি পঞ্চানন আশ্রমে বাসন্তীপুজোর পাশাপাশি শারদীয়া দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। আশ্রম দেখাশোনার ও পুজোপাঠের জন্য সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ সেবাইত হিসাবে মুখোপাধ্যায় পরিবারকে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। মুখোপাধ্যায় পরিবারই বংশপরম্পরায় সেবাইতের দায়িত্ব সামলে আসছেন।
শুরুর দিকে একটি মাটির চালাঘরে পুজো হত। পরে ইঁটের গাঁথনি একটি ঘর তৈরি করা হয়েছিল। তবে মূল ঘরটির জায়গা অপরিসর থাকায় কয়েকবছর আগে একটি ইঁটের গাঁথনি টিনের ছাউনি ঘর তৈরি করা হয়েছে। এই ঘরেই দুর্গাপুজো হয়।
আশ্রমের বর্তমান সেবাই গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন,” এবছর পঞ্চানন আশ্রমের দুর্গাপুজোর ১৫১ তম বর্ষ। মূলত মুষ্টিমেয় কয়েকজন ভক্তের দানে ঘর তৈরি করা হয়েছে। পুজো হয় এলাকার কিছু মানুষের দেওয়া চাঁদা থেকে। আশ্রমে ঘর নির্মাণ বা পুজোর জন্য কোনও সরকারি অনুদান পাইনি। তবে সাবেকি আমলের পদ্ধতি মেনেই পুজো করা হয়।”
সোতাখলি পঞ্চানন আশ্রমে মাটির দুর্গাপ্রতিমা পুজো করা হয়। হাবেকি ধাঁচের দশভূজা দুর্গাপ্রতিমা। বৈষ্ণব মতেই পুজো হয়। তাই কোনও বলিদান নেই। আর্থিকভাবে অনটনের মাঝেও ঐতিহ্য মেনেই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে সোতখালি পঞ্চানন আশ্রমে।।