এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুজাফফরনগর,২৩ অক্টোবর : উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় ৯ বছরের এক আদিবাসী শিশুকে অপহরণের পর দীর্ঘ ৮ বছর ধরে মাদ্রাসার মধ্যে আটকে রাখা হয় । শিশুটিকে ধর্মান্তরিত করা হয়,এমনকি খৎনা পর্যন্ত করা হয়েছিল । বর্তমানে সে ১৭ বছরের কিশোর । ওই কিশোর নিজেই বাড়ি ফিরে এলে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে । মাদ্রাসাটি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলায় অবস্থিত । সংবাদ মাধ্যমের ঘটনার কথা প্রচার হতেই জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর) জামিয়া উসমানিয়া ইসলামিয়া নামে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালায় । কিন্তু এনসিপিসিআরের দল মাদরাসায় পৌঁছনো মাত্রই মাদ্রাসার তালা ঝুলিয়ে চম্পট দেয় সবাই । শেষে প্রশাসনের উপস্থিতিতে মাদ্রাসার গেটের তালা ভেঙে বেশ কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানা গেছে ।
এই ঘটনায় কিশোরের বাবা উত্তর প্রদেশের হারদোই জেলার বাসিন্দা বীরেন্দ্র কুমার মাদ্রাসার কর্মকর্তা প্রধান আফসারুন( Pradhan Afsaroon) জামিয়া উসমানিয়া ইসলামিয়ার আলেম, মাতলুব, এবং ধর্মগুরু মুকরম জামালের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর এফআইআর নথিভুক্ত করেছেন, যারা তার নাবালক সন্তানকে ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল । বীরেন্দ্রের অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসির ৪২০ (প্রতারণা) এবং উত্তরপ্রদেশের ধর্ম স্বাধীনতা আইনের ৩ এবং ৫(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে ।
অর্গানাইজ উইকলির প্রতিবেদনে জানা গেছে,
উত্তর প্রদেশের হারদোই জেলার বাসিন্দা বীরেন্দ্র কুমার প্রায় আট বছর আগে কর্মসূত্রে চণ্ডীগড় রায়পুর কালানে চলে আসেন এবং সেখানে তাঁর ছেলে নিখোঁজ হয়, তখন তার বয়স মাত্র ৯ বছর। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তিনি ছেলের কোনো সন্ধান করতে পারেননি । মুজাফফরনগর জেলার চার্থওয়াল থানায় নিখোঁজ ডাইরিও করেছিলেন,কিন্তু পুলিশও তার ছেলের হদিশ করতে পারেনি । ফলে ছেলে ফিরে পাবার আশা ছেড়ে দেন । শেষ পর্যন্ত তার ছেলে নিজেই বাড়ি ফিরে আসে।
গত ৮ অক্টোবর তিনি পুলিশকে ফোন করে ছেলে ফিরে আসার কথা জানান । ছেলেটির বয়স এখন ১৭ বছর এবং একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম, তাকে খৎনা করানো হয়েছে এবং দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ে ওই কিশোর । পুলিশ কিশোরের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করে তাকে শনাক্ত করে । তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে কিশোরের আধার কার্ডে তার নাম বিশাল থেকে মোহাম্মদ উমর করার জন্য ওই মাদ্রাসা থেকে আবেদন পাঠানো হয়েছিল ।।