এইদিন ওয়েবডেস্ক,চট্টগ্রাম,২২ অক্টোবর : ২০২১ সালে কুমিল্লা নানুয়া দিঘির পাড়ের একটি দূর্গাপূজো মণ্ডপে কোরান রেখে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইকবাল হোসেন নামে এক জিহাদি । কট্টরপন্থী মুসলিমদের হিংসার বলি হয়েছিল বেশ কয়েকজন হিন্দু । ঘরবাড়ি,দোকান লুটিপাট ও অগ্নিসংযোগ ছাড়াও ধর্ষিতা হতে হয়েছিল বেশ কয়েকজন হিন্দু মেয়েকে । ফের একই কায়দায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করল এক মুসলিম জিহাদি । এবারে চট্টগ্রামের একটি পূজামণ্ডপে ওই জিহাদি কোরান রাখার চেষ্টা করলে পূজো উদ্যোক্তারা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । কিন্তু ওই জিহাদিকে পুলিশ ‘পাগল’ তকমা দিয়ে ছেড়ে দেয় । যদিও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়লে ঘন্টা কিছু পরেই পুলিশ ফের তাকে ধরে আনতে বাধ্য হয় । তবে পুলিশ ওই জিহাদির নাম প্রকাশ করেনি ।
জানা গেছে,ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মহাসপ্তমীর দিন সন্ধ্যায় । চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার মির্জাপুর সোমপাড়া দুর্গা পূজামণ্ডপে ঠাকুর দর্শনের অছিলায় গিয়েছিল ওই জিহাদি যুবক । হাতে একটা থলি নিয়ে সে দর্শনার্থীদের ভিড়ে ঢুকে সোজা পূজো মণ্ডপে ঢুকে পড়ে । কিন্তু ওই জিহাদির মুখে দাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পূজো কমিটির লোকজনের । তারা জিহাদিকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে । কিন্তু সে মুখ খুলতে না চাইলে তার হাতে থাকা ব্যাগে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় কোরানের একটা কপি । পরে তাকে হাটহাজারী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । কিন্তু হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মনিরুজ্জামান মনির ওই জিহাদিকে ‘পাগল’ বলে দাবি করে ছেড়ে দেয় । কিন্তু খবরটি স্থানীয় একটি বাংলা নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হলে কিছুক্ষণ পরেই অভিযুক্ত যুবককে হাটহাজারী উপজেলার নাজিরহাট এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ ।
মির্জাপুর সোমপাড়া দুর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দনাথবাবু বলেন,’প্রথমে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাই । পরে আবারও তাকে আটক করা হয়েছে। তবে যেন আবারও যেন অভিযুক্ত ছাড়া না পায় তা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে এবং আইনের মাধ্যমে তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
এই বিষয়ে ওসি মনিরুজ্জামান মনির দাবি করেন যে এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং ওই যুবক একটা পাগল। আমরা তাকে ধরে এনেছি, তার সঙ্গে কথা বলে বোঝা যাবে তার উদ্দেশ্য কি ছিল।। তার জড়িত থাকার কোনো তথ্য পাওয়া গেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।’ ওসির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে । অভিযুক্ত যুবককে ধরে আনার স্থান নিয়ে তিনি বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেছেন । অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরার পরেও আর কি প্রমান চাইছেন ওসি,এনিয়েও প্রশ্ন উঠছে । ওসি মনিরুজ্জামান মনির মতিগতি দেখে স্থানীয় হিন্দুরা ধন্দ্বে আছেন যে আদপেই কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টাকারী ওই জিহাদির বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন তিনি ?