এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২২ অক্টোবর : আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্থান ম্যাচে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগানে ‘বিব্রত ও লজ্জিত’ বামপন্থী মিডিয়া হাউস ‘দ্য ওয়্যার’ এর সিনিয়র এডিটর আরফা খানুম শেরওয়ানি । আজ রবিবার ‘এক্স’-এ একটা পোস্ট করে নিজের ‘লজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে তিনি লিখেছেন,’বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালীন অনেক ক্রিকেট ভক্তের শোচনীয় আচরণ, একজন ভারতীয় হিসেবে আমাকে বিব্রত ও লজ্জিত করে।খেলাধুলার প্রতি এই ক্ষুদ্র, অনিরাপদ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি যা মানুষকে একত্রিত করার উদ্দেশ্যে ছিল,মোদী- আরএসএস গত এক দশকে তৈরি করা ভারতের প্রতীক ।’ যদিও তিনি নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ওঠা ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি । তবে অনুমান করা হচ্ছে যে হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র ওই শ্লোগামেই ‘লজ্জিত’ হয়েছেন ওই সাংবাদিক ।
কিন্তু তথাকথিত ওই সেকুলার সাংবাদিককে এই পোস্টের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে । সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’-র হ্যাশট্যাগ ‘আরফা’ ট্রেন্ড শুরু হয়েছে ।
আরফা খানুম শেরওয়ানির ওই মন্তব্যের উত্তরে
রূপা মূর্তি লিখেছেন, হিন্দুদের উৎসব উদযাপনের সময় আপনি ভারতের জন্য লজ্জিত বোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপির কারণে আপনি ভারতের জন্য লজ্জিত বোধ করছেন । সংখ্যালঘুদের প্রতি কথিত খারাপ আচরণের কারণে আপনি ভারতীয় সমাজের জন্য লজ্জিত বোধ করেন । যখনই প্রতিবাদ হয় তখন আপনি ভারতের জন্য লজ্জিত হন। ক্রিকেট সমর্থকদের কারণে আপনি ভারতের জন্য লজ্জিত। আমি আপনাকে একবারও বলতে শুনিনি যে আপনি একজন ভারতীয় হিসেবে গর্বিত এবং ভারতের জন্য গর্বিত। আমি একবারও আপনাকে ভারত বা ভারতীয়দের জন্য উদযাপন করতে দেখিনি । সমস্যাটি ভারত বা বিজেপি/আরএসএসকে নিয়ে নয়, সমস্যাটি আপনার মানসিকতার ।’
কৃষি ভাটিয়া লিখেছেন,’সংখ্যাগরিষ্ঠের কিসের দৃষ্টিভঙ্গি ? তাহলে তারা কীভাবে আফগানিস্তান দলকে সমর্থন করল?
পুনিত সাহানি লিখেছেন,’সংখ্যাগরিষ্ঠ সংস্কৃতির জন্য ধন্যবাদ যে কোনও ভারতীয় মুসলমান পাকিস্থান যেতে চায় না, যখন অনেক বাংলাদেশী মুসলমান ভারতে প্রবেশের জন্য আইন ভঙ্গ করে । এমনকি ভারতের অভ্যন্তরেও, হিন্দুরাও মুসলিম অধ্যুষিত মহল্লা থেকে পালিয়ে যায় এবং মুসলমানরাও তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে হিন্দু পাড়া এলাকাগুলিকে পছন্দ করে ।’
মিস্টার ত্যাগী লিখেছেন,’মহাশয়া, ২০১৪ সাল থেকে আপনি মাসে দুবার একজন ভারতীয় হতে লজ্জা বোধ করেন। লজ্জিত হওয়ার হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করা মানুষের হাতেই । অনুগ্রহ করে ৫৭ টি দেশের যেকোন একটিতে চলে যান যেখানে আপনি বিব্রত বোধ করেন না, কারণ বিজেপি এখনও ১৫-২০ বছর ধরে এখানে থাকবে ।’।