এইদিন ওয়েবডেস্ক,গাজিয়াবাদ,২১ অক্টোবর : উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার এবিইএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন ছাত্র কলেজে বিটেকের প্রথম বর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় সকলকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে অভিবাদন জানালে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন মমতা গৌতম নামে কলেজের এক সহকারী অধ্যাপিকা । তিনি ওই ছাত্রকে শুধু তিরস্কার করেই ক্ষান্ত থাকেননি,পড়ুয়াকে মঞ্চ থেকে সরিয়েও দেন এবং নিজে মাইক্রোফোনের সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগানকে ‘ফালতু বিষয়’ বলে মন্তব্য করলে উপস্থিত পড়ুয়াদের মাঝে এনিয়ে গুঞ্জন ওঠে । পরে অধ্যাপিকা মমতা গৌতমের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় । অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে । বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হতেই সুর বদল করে ফেললেন মমতা গৌতম । সোশ্যাল মিডিয়ায় ১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের একটা ভিডিও পোস্ট করে নিজেকে ‘সনাতনী’ বলে দাবি করেন তিনি । শুধু তাইই নয়,বক্তব্যের শেষে নিজেই বলেন, ‘জয় শ্রীরাম’ ।তবে মমতা গৌতম সব দোষ ভুক্তভোগী ছাত্রটির ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন । মমতার মতে, ছাত্রটি তার সহকর্মীর সাথে খুব বেশি তর্ক করছিল,যে কারণে তিনি এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন ।
উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপিকা মমতা গৌতমের এহেন ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিও । অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে । যদিও কলেজের পরিচালক সঞ্জয় কুমার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগানে তাদের কোনো আপত্তি নেই । তিনি আরও জানান, অধ্যাপিকার আচরণের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্টের সত্যতা সামনে আসলেই একশ শতাংশ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিলে কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই অভিযুক্ত অধ্যাপিকাকে ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে,’আমি
ব্রিজ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছি এবং আমি একজন সনাতনী ব্রাহ্মণ । শারদীয়া নবরাত্রির সময় ৯ দিন উপবাস করি ।’ অধ্যাপিকা জানান,ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন । অনেকে তার জাত ও ধর্ম নিয়ে কটু মন্তব্য করছে । তাদের সকলের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি । শেষে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে ভিডিওটি শেষ করেন তিনি ।।