জঞ্জাল পরিষ্কারের নামে ওরা গাছটা কেটে দিল !!
পুজো কমিটির অভিযোগ, প্রশাসনের আদেশ–
কোনো মায়া নেই, একফোঁটাও খারাপ লাগা নেই।
এত নিষ্ঠুর কি করে হয় মানুষগুলো ??–
গাছটা অসুবিধা করছিল,
একটু হাওয়া দিলেই তার ছিঁড়ে যাচ্ছিল–
পাখিদের দিনরাত রাস্তায়, উঠোনে কিচিরমিচির !!
শান্তি ভঙ্গ, বাড়ি নোংরা, ভীষণই জ্বালাতন করছিল।
শালিকটা এসে আমাকে নালিশ জানিয়ে গেলো–
আমি চুপ করে শুনলাম। উত্তর দিতে পারলাম না।
কি করে দেব ? কোন্ মুখে উত্তর দেবো বলো?–
গাছটা কাটার আগে ওরা শয়ে-শয়ে চারাগাছ লাগিয়েছে।
শালিকটা বললো–বাড়ির কর্তা না’কি গোড়া উপরে,
মাটি সমেত একটা গাছ লাগিয়েছিল !!
এ পাড়ায় আগে কাক ছাড়া কোনো পাখি আসতো না–
তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে দানা ছড়িয়ে দিতেন !!
তারপর ফাঁদ পেতে কিছু পাখিও ধরে এনেছিলেন–
কিছু শখে পোষ মানিয়েছিলেন,কিছু ছেড়ে দিয়েছিলেন।
খাবারের ও গাছের ছায়ার লোভে ওরা থেকে গিয়েছিল।
শালিকটাও ছিল পাখিদের দলের ভিড়ে–
বড্ড ন্যাওটা হয়ে গিয়েছিল যে —
তাইতো এহেন ব্যবস্থা !!
জঞ্জাল পরিষ্কারের নামে ওরা গাছটা কেটে দিলো —
পরিযায়ীদের মতো শালিকটা সাথীহারা বড্ড একা ঘরছাড়া।।