এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২০ অক্টোবর : ফিলিস্থিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলা সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী পাকিস্তান সাহায্য সামগ্রী পাঠালো গাজায়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী,গাজায় ওষুধ ও তাঁবু সহ বিভিন্ন সাহায্য সামগ্রী পাঠিয়েছে সন্ত্রাসবাদের জনক পাকিস্তান । পাকিস্তানের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ১০০ টন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী, তাঁবু এবং কম্বল নিয়ে একটি চার্টার্ড বিমান ইসলামাবাদ থেকে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে । মিশর থেকে এই জিনিসগুলি অবরুদ্ধ ছিটমহলের মানুষের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি ।
বালোচ বলেন, গাজার ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তান গভীরভাবে উদ্বিগ্ন । আমরা ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধের তীব্র নিন্দা জানাই, বিশেষ করে গাজার একটি হাসপাতালে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি ।
আল আহলি হাসপাতালে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,’যার ফলে ৫০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল । ইসরায়েলের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে । বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইচ্ছাকৃত হামলা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি,গাজা অবরোধের অবসান এবং অনিয়ন্ত্রিত ত্রাণ সরবরাহের জন্য মানবিক করিডোরগুলির সুবিধার আহ্বান জানাই ।’
যদিও মানবাধিকারের কথা বলা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে । হিন্দুদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শহর লাহোরে এক সময় ১০০ শতাংশ হিন্দু ছিল, কিন্তু আজ আর কোন হিন্দু অবশিষ্ট নেই। সিন্ধু থেকে হিন্দু পরিবার লাহোরে বেড়াতে গেলে এখন মুসলিমরা রীতিমতো অবাক হয়ে যায় । পাকিস্তানের যে সমস্ত প্রদেশে নামমাত্র হিন্দু অবশিষ্ট আছে সেখানেও হিন্দু মেয়েদের অপহরণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা লাগাতার চলে যাচ্ছে । সম্প্রতি সিন্ধু প্রদেশের হাসান নামে এক মুসলিম বক্তি মেয়ের বয়সী হিন্দু কিশোরী(১৫)কে অপহরণ করে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছে এবং নিকাহের নামে যৌন দাসত্বে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় মেয়েটির পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন । কিন্তু পাকিস্তানের আদালতেও ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা এক প্রকার নেই বললেই চলে ।।