খুশীর জোয়ার দিকে দিকে শিউলি ছড়িয়ে আঙিনা জুড়ে
বাতাস গন্ধে মাতাল করে শিশির বিন্দু ঘাসের বুকে।
বৃষ্টি গেছে নিজের দেশে শরৎ আকাশ বলছে ডেকে
ভাসছে দেখো পেঁজা তুলো আকাশের বুক জুড়ে ঐ
কাশের বনে দিচ্ছে দোলা মায়ের আঁচল উড়ছে যেনো
ঢাকের কাঠি বাজবে আজ ঢ্যাং কুরকুর তালে তালে
মনের গভীর আবেগ গুলো মেলেছে রঙিন ডানা নতুন।
এসেছে উমা বছর ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে দোরগোড়ায়;
বরণডালা নিয়ে এসো সবে বরণ করে ঘরে তোলো
কৈলাসের বাধা অতিক্রম করে মর্ত্যে উমা আসে প্রতিবছর
আসুক যতই বাধানিষেধ সব উমা অতিক্রম করে।
ছুটে আসে ছেলেমেয়ে নিয়ে পাঁচটা দিন থাকবে বলে!
নব সাজে সজ্জিত হয়ে অলঙ্কার অঙ্গ জুড়ে হাজারো
কপালে লাল টুকটুকে টিপ পড়নে বস্ত্র রংবেরঙের
দেখে চোখ জুড়িয়ে যায় উমা মায়ের রুপে আলোকিত
এ ভুবনে আজ দিকে দিকে মর্ত্যবাসীর খুশীর ভান্ডার
রয়েছে উন্মুক্ত চতুর্দিক এসেছে ফিরে ঘরের মেয়ে।
কাটবে ক’টা দিন আনন্দেতে থাকবে না মান- অভিমান ;
হারিয়ে যাবে অনেক দূরে, বলবো মাকে ভক্তিভরে
দুঃখ কষ্ট যাবে চলে দিকে দিকে হানাহানি যুদ্ধ-বিগ্রহ!
সবকিছুই যাবে থেমে পথের বাঁকে অনাথ শিশু
কাঁদবে না অন্নকষ্টে সবাই মিলে একসাথে
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবো থাকবো মোরা মিলেমিশে;
বাজলো তোমার আলোর বেনু মাতলো যে ভুবন।।