এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৯ অক্টোবর : কিশোরীদের ‘যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ’ রাখা এবং কিশোরদের ‘নারীদের প্রতি সম্মান’ করার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ মামলার শুনানির সময় এই মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট । যদিও ধর্ষণের মামলা হলেও মেয়েটি আদালতে জানায় যে স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল । যেকারণে অভিযুক্তকে খালাস করে দেয় আদালত ।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় ১৭ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল এক যুবক । কিশোরীর যখন ১৪ বছর বয়স তখন থেকে তার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল যুবকের । মেয়েটি ১৭ বছর বয়সে গর্ভবতী হলে তাঁর পরিবারের তরফে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। পরে কিশোরী একটি সন্তানের জন্ম দেয় । যেহেতু ভারতে যৌনতার সম্মতির বয়স ১৮ বছর,তাই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রজু করে পুলিশ । ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়রা আদালত একটি নাবালিকা মেয়ের সাথে যৌন সম্পর্কের জন্য অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং সাজা দেয়। এরপর বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছায় । বুধবার সেই মামলার শুনানি হয়েছিল । মেয়েটি আদালতে জানায় যে সে তার নিজের ইচ্ছামত পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক করেছিল এবং পরে তাকে বিয়ে করেছিল । এরপর বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং পার্থসারথি সেনের একটি বেঞ্চ অভিযুক্তকে খালাস করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ।
তবে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে যে কিশোরীদের যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং কিশোরদেরও মহিলাদের সম্মান করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা উচিত । আদালত বলেছে যে কিশোর-কিশোরীদের যৌনতা সম্পর্কিত বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া দরকার। এটি বাড়িতে শুরু করা উচিত। এই বিষয়ে অবিভাবকদের উদ্যোগী হতে পরামর্শ দিয়েছে আদালত ।।