এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,১৯ অক্টোবর : ২২ বছরের হিন্দু প্রেমিকের সাথে বিয়ে করেছিলেন ২০ বছরের মুসলিম তরুনী । কিন্তু এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তরুনীর বাবা । শেষে স্বীকৃতি দেওয়ার অছিলায় ডেকে এনে মেয়ে-জামাইকে নির্মমভাবে খুন করল ওই ব্যক্তি ও তার নাবালক ছেলে । ঘটনাটি মুম্বাইয়ের আরসিএফ থানা এলাকার । এ ঘটনায় মোট ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । তার মধ্যে রয়েছে খুনের মাস্টারমাইন্ড গোরা রইসউদ্দিন খান(৫০) এবং সালমান নামে তার এক নাবালক ছেলে । মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর ২০২৩ ) মুম্বাই পুলিশ এই ঘটনাটি প্রকাশ করেছে বলে ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে ।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, রইসউদ্দিন খানের মেয়ে গুলনাজ খানের(Gulnaz Khan) সাথে উত্তরপ্রদেশের করণ রমেশ চন্দ্রের প্রেমের সম্পর্ক ছিল । গুলনাজ পরিবারের অসম্মতির বিরুদ্ধে গিয়ে প্রেমিক রমেশকে বিয়ে করেন । কিন্তু একদিন ওই দম্পতি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান । এরপর ১৪ অক্টোবর মুম্বাইয়ের আরসিএফ থানা এলাকার পুলিশ একটি কূপে এক অজ্ঞত পরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নেমে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে পারে । পুলিশ মৃত যুবককে উত্তরপ্রদেশের করণ রমেশ চন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করার পর সেই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে ।
মুম্বাইয়ের আরসিএফ থানার ইন্সপেক্টর প্রমোদ কোকাটে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন,’আমরা যখন যুবকের স্ত্রী গুলনাজকে খুঁজতে শুরু করি, তখন সেও নিখোঁজ ছিল। আমরা গুলনাজের বাবা গোরা রইসউদ্দিন খান এবং ভাই সালমান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করি এবং জানতে পারি যে তারা কয়েকজন মিলে ওই দম্পতিকে হত্যা করেছে ।’ ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে,পিতা পুত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ল পুলিশ নভি মুম্বাইয়ের একটি জঙ্গল থেকে গুলনাজ খানের দেহটিও উদ্ধার করে ।
পুলিশ জানতে পারে যে করণের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল গুলনাজের পরিবার। মেয়েটির বাবা গোরা রইসুদ্দিন খান দুজনকেই মুম্বাই ডেকেছিলেন । তিনি কথা দিয়েছিলেন এই বিয়েকে তিনি স্বীকৃতি দেবেন । কিন্তু বাবার গোপন ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি গুলনাজ । এরপর তিনি স্বামীকে নিয়ে মুম্বাই যান । আর তারপরেই করণ রমেশ চন্দ্রকে রইসুদ্দিন খানের পাশাপাশি সালমান ও মহম্মদ কাইফসহ রইসুদ্দিনের ছেলে মিলে রমেশকে খুন করে মুম্বাইয়ের গোভান্দি এলাকার একটি নির্জন টেলিকম ফ্যাক্টরি ক্যাম্পাসের কূপের মধ্যে ফেলে দেয় । সালমান ও তার বাবা রইসুদ্দিন বাড়িতে ফিরলে গুলনাজ তার স্বামীর খোঁজ নেয় ।
কিন্তু ঘটনার কথা ফাঁস হওয়ার ভয়ে সালমান ও রইসউদ্দিনও গুলনাজকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । রইসউদ্দিন তার মেয়ের মৃতদেহও নাভি মুম্বাই এলাকায় ফেলে দিয়ে আসে । এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ নাবালিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সালমান ও গোরা রইসউদ্দিনের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে তৃতীয় অভিযুক্ত মহম্মদ কাইফকেও ।।