জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),১৬ অক্টোবর : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো দুয়ারে হাজির হয়ে গেছে। চারদিকে সাজো সাজো রব। পুজোর আনন্দে মেতে উঠছে বাঙালি। পুজোর চারদিন মণ্ডপে মণ্ডপে দেখা যাবে ফুল-বেলপাতা দিয়ে অনেকেই মায়ের চরণে অর্ঘ্য দিতে ব্যস্ত।
পুজোর আনন্দে সবাই মেতে থাকলেও রোগ তো থেমে থাকবে না! সে তার কর্তব্য পালন করে যাবে। ডেঙ্গি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তার প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। দুর্ঘটনা তো লেগেই আছে। দুটি ক্ষেত্রেই চিকিৎসার জন্য দরকার রক্ত।
যখন মায়ের চরণে অর্ঘ্য দিতে অনেকেই ব্যস্ত থাকবে তখন ‘শারদীয়ার অর্ঘ্য হোক রক্তদান’- পুজোর প্রাক্কালে এই অভিনব বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গুসকরা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালনায় এবং গুসকরা আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স ফোরাম এর সহযোগিতায় সুশীলায় একটি স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবির থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার সহযোগিতায় মোট ৩৮ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রক্তদাতাদের মধ্যে ২৭ জন এই প্রথমবার রক্তদান করে এবং একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। রক্তদানের ইচ্ছে থাকলেও বিভিন্ন সমস্যার জন্য ৪ জন মহিলা সহ ১৫ জন রক্তদান করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা । সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী, গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবব্রত শ্যাম ও যুব সভাপতি কার্ত্তিক পাঁজা, গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা গুসকরা আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি শিশির কুমার ঘোষ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাধব সাহা সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা এবং আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা। মাধববাবু বললেন,’উৎসবের সময় যাতে ব্লাড ব্যাংকগুলিতে রক্ত সংকট দেখা না যায় তার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা ।’ রক্তদান করতে এসেও যারা দিতে পারেননি তাদের প্রতি তিনি সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং তাদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানান।
সৌগতবাবু বললেন,বর্তমানে ডেঙ্গি সময়কালে দাঁড়িয়ে রোগ প্রতিরোধে এই স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও খুব জরুরি। তিনি রক্তদাতা, স্বেচ্ছাসেবক ও উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এলাকাবাসীকে আগাম শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানান।।