প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৪ অক্টোবর : পরিবার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল একই পাড়ার বাসিন্দা এক যুবকের বিরুদ্ধে । শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শালমূলা গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতার নাম বর্ণালী দাস । খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ । আজ শনিবার কিশোরীর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । এই ঘটনায় মৃতার বাবা গোপাল দাসের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একই পাড়ার বাসিন্দা অরিত্র মণ্ডল ওরফে বিট্টু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
আঝাপুরের একটা স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল বর্ণালী । বর্ণালী বাবা গোপাল দাস ও মা দু’জনেই একটা সংস্থার আঝারপুর বটতলা অফিসে কাজ করেন । পাশাপাশি গোপালবাবুর স্ত্রী টিউশন পড়ান । পরিবার সূত্রে জানা গেছে,গোপালবাবুর স্ত্রী অনান্য দিনের মত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে টিউশন পড়াচ্ছিলেন । মায়ের কাছেই পড়ছিল বর্ণালী । সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ শৌচকর্ম সারতে যায় ওই কিশোরী । তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি । এরপর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করলে বাড়ির পাশে একটা ডোবার জলের মধ্যে কিশোরীকে মুখ গুঁজে পড়ে থাকতে দেখে । পুকুরের ঘাটের কিছুটা পাশেই পড়েছিল কিশোরীর চটি জোড়া । পরিবারের লোকজন কিশোরীকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে ।
মৃতার বাবা গোপাল দাস বলেন,অরিত্র মণ্ডল ওরফে বিট্টু নামে ওই যুবকের বাবা-মা আমার মেয়ের সঙ্গে তাদের ছেলের বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল । কিছু ছেলেটি প্রথমত পড়াশোনা করেনি, তার ওপর বখাটে স্বভাবের, তাই আমরা এই প্রস্তাবে রাজি হইনি । একারনে বিট্টু আমার মেয়েকে হুমকি দিত । সন্ধ্যা হলেই আমাদের বাড়ির সামনে সঙ্গী সাথীদের সাথে শিয়াল, কুকুরের মত চিৎকার করে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করার চেষ্টা করত ।’ তাঁর অভিযোগ, ‘আমাদের অনুমান যে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার মেয়ে যখন শৌচকর্ম সারতে গিয়েছিল, সেই সময় বিট্টু আর কারোর সাহায্য নিয়ে আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে শরীরের অর্ধেক অংশ পুকুরের ঘাটে ফেলে দিয়ে পালিয়েছে ।’ তিনি দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে ।।