ডাক্তারদের পরিচয় একটাই, ওঁরা কসাই।
এত বড়ো স্পর্ধা, ভগবানের সৃষ্টির সাথে করছে লড়াই।
কত দুঃসাহস ভাবো, নিয়েছে ব্রত মানুষকে সুস্থ রাখার
সেবাই নাকি ওঁদের ধর্ম, আমরাই ওঁদের পরিবার।
পারিশ্রমিক নিয়ে তো চিকিৎসা করে, এত কথা বলার কী প্রয়োজন?
শিক্ষক, উকিল, অফিসার, অভিনেতা থেকে নচিকেতা সবই ফ্রীতে, ডাক্তারিটাই একমাত্র প্রফেশন।
করোনার সময় বীরত্ব দেখানোর জন্য
নিজেদের জীবন করেছিল বিপন্ন।।
বাড়িতে যে ছোট্ট শিশু, বয়স্ক মা, অসুস্থ পিতা, তাঁদের কথা আর তখন মনে নাই।
সত্যি ডাক্তারদের পরিচয় একটাই, ওঁরা কসাই।
চিকিৎসায় কেউ সাড়া না দিলে
রুগীর আত্মীয়রা যখন একটু আক্রমণ করে মুখ-হাত খুলে।
বদমাইশগুলো তখন নিজেদের কর্তব্য ভুলে
নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলে।
সত্যি ডাক্তারদের পরিচয় একটাই, ওঁরা কসাই।
অপারেশন সফল হলে
আমরা ছুটি ভগবানের কোলে
“ভাগ্যিস উপরওয়ালা কাছে মানত করেছিলাম”
ওঁদের কাছে কিন্তু অন্ধ বিশ্বাসের কোনো নেইকো দাম।
বাবুদের তখন হিংসে হয়
ওঁরা যে কসাই, ওঁদের ওই একটাই পরিচয়।
নিম্ন পরিকাঠামো, উচ্চ রুগীর চাপ, তাতেও উন্নত পরিষেবা দেওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়
শুধুমাত্র পড়াশুনা বাদ দিয়ে ওটার জন্য একটু মন্ত্র-তন্ত্র নিয়ে চর্চা করলেই হয়।
সুস্থ করার চ্যালেঞ্জে যখন আটকে যায় ব্যর্থতার জালে
শুনেছি এই অনুভূতিহীন কসাইগুলোও কাঁদে অন্তরালে।
আসলে ও সবই অভিনয়
তবু মাঝে মাঝে ভীষণ লাগে ভয়
ডাক্তাররা ছদ্মবেশে উপরওয়ালার পাঠানো দূত যদি হয়?