এইদিন ওয়েবডেস্ক,০৯ অক্টোবর : সংযুক্ত আরব আমিরাত(ইউএই) ইসরাইলকে সমর্থনকারী প্রথম মুসলিম দেশ হলেন । ইসরায়েলে হামাস সন্ত্রাসীদের রক্তক্ষয়ী হামলার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্ষুব্ধ। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রকাশ্যে বলেছে যে হামাসের হামলা “গুরুতর” এবং “উস্কানিমূলক” । এদিকে হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মুসলিম অনুরাগীদের রোষের মুখে পড়লেন জনপ্রিত টিভি অভিনেত্রী হিনা খান । তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘এক্স’-এ লিখেছেন,’আমি এমন একটি দিনের স্বপ্ন দেখি যখন মানবজাতি সমস্ত পার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠতে সক্ষম হবে এবং নির্দোষ জীবন বিসর্জন ছাড়াই মানুষের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবে। উভয় পক্ষের হত্যাকাণ্ড কখনোই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। এটা দুঃখের ।’
যদিও হিনা খানের শান্তির বার্তা মোটেই সহজভাবে নেয়নি তাঁর মুসলিম অনুরাগীরা । তাদের মধ্যে কেউ কেউ অভিনেত্রীকে ‘ভণ্ড’ আখ্যা দিয়েছেন । সাজ্জাদ সিকদার নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন,’মুখ বন্ধ রাখো…ভণ্ড…জা কে ইডি ঝুমকে আও..আক্কাল থিকানা পে আ জায়েগি..তুমি আমার প্রিয়.. এর মানে এই নয় যে আমি তোমার ভন্ডামীকে সমর্থন করব।’
মহাজবীন রিজভি লিখেছেন,’ইউক্রেনের রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার সমস্ত অধিকার রয়েছে, কিন্তু ফিলিস্তিন যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টা করে তখন তা সন্ত্রাসবাদে পরিণত হয়। ভন্ডামী সমর্থন করবেন না ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান ।’
সারা নামে এক ‘এক্স’ ইউজার্স লিখেছেন,’লজ্জিত হও হিনা….তুমি এটা কিভাবে বলতে পারো…..এখন তোমরা নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের দোষারোপ করছ…… ইসরাইল যখন তাদের নির্মমভাবে হত্যা করলো তখন তোমরা কোথায় ছিলে…।’
এই সমস্ত সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় এর ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়’ খ্যাত হিনা টুইট করেছেন, ‘তবুও নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে। একটি নিখুঁত বিশ্বে, সংঘাতের সময় কেবল সেনাবাহিনীই একে অপরের সাথে লড়াই করবে কিন্তু এখন বেসামরিক মানুষ তাদের জীবন হারাচ্ছে। তাদের জীবন ও বাড়ি যেন কখনোই যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত না হয়। তিনি আরও লিখেছেন যে তিনি ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের ইতিহাস সম্পর্কে জানতেন এবং তিনি কেবল বলতে চেয়েছিলেন যে নিরপরাধ বেসামরিক লোকদের মারা উচিত নয়। তারা এটা সহ্য করে না ।’
ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী সংগঠন ‘হামাস’ শনিবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০০ জন ইসরায়েলির মারা গেছে । বহু ইসরায়েলি মহিলাকে অপহরণ করে গাজায় নিজেদের ঠিকানায় নিয়ে গিয়ে গনধর্ষণ করছে হামাস সন্ত্রাসীরা । অপহৃত পুরুষসের নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে । সন্ত্রাসীদের নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছে না ইসরায়েলি শিশুরাও । খাঁচার মধ্যে শিশুদের বন্দী করার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । আর এই সমস্ত নৃশংসতা দেখেই যুদ্ধ বন্ধের জন্য কাতর আকুতি জানান হিনা খান । শুধুমাত্র তার এই অপরাধের জন্য কট্টরপন্থী দের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে ।।