এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৭ অক্টোবর : এক মুসলিম গৃহবধুর সাথে ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল হিন্দু আইনজীবীর । কিন্তু সম্প্রতি ওই বধূ অভিযোগ তোলে যে পরিচয় গোপন রেখে আইনজীবী তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়েছে । শেষে বধূর দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ফেনী পৌরসভা এলাকার ঘটনা । শুক্রবার (৬ অক্টোবর ২০২৩) রাতে পিকলু মজুমদার নামে ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ ।
জানা গেছে,ফেনী পৌরসভার মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা পিপলু মজুমদার জজ কোর্টের একজন আইনজীবী। এছাড়াও তিনি ফেনী কোর্টের জিপি । অন্যদিকে ওই গৃহবধূ বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী । তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন । মহিলার শ্বশুরবাড়ি ফেনীর ফুলগাজীতে হলেও খাগড়াছড়ি মাটিরাঙায় বাবার বাড়িতেই থাকেন ওই বধূ । বধূ পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন যে পিকলু মজুমদারের সঙ্গে তার ফেসবুকে পরিচয় হয় । পিপলু নিজেকে মুসলিম পরিচয় দেয় এবং ব্যাংকে চাকরি করেন বলে জানান। ক্রমে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ।
পুলিশ আরও জানায়, গত ৩ অক্টোবর ওই বধীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডেকে এনে ফেনী শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিরিঞ্চি আতিকুল আলম সড়কের কাজী মঞ্জিলে ওঠে। সেখানে তিন দিন ধরে একাধিকবার ওই বধূর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে পিপলু। কিন্তু বিয়ের কথা বললে তিনি নানা অজুহাত এড়িয়ে যেতে থাকেন। বধূ জানায় যে পিপলু যে সনাতন ধর্মের তা তিনি জানতে পারেন । বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে পরিবারের লোকজন শুক্রবার সকালে ফেনী মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় ওই বধূকে উদ্ধার করে এবং পিপলুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোহম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।।