মনে কি পড়ে ?
সেই সব ফেলে আসা দিনে
চৈতির সাথে মিতালি করিয়া
মহুয়া পলাশের বনে বনে ঘুরিয়া
শুনিয়াছি কত পাপিয়ার কাকলি।
বসন্তের রঙে রঙে আনন্দে পুলকে
কৃষ্ণার স্রোতে ভেসে পরমানন্দে
কোথা যেন চলে যেত অস্থায়ী মন
কুঞ্জে কুঞ্জে ঘুরি ডালি ভরে ফুল তুলি
আনিয়াছি জুঁই বেলা চম্পার কলি।
সব মনে পড়ে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
যত কিছু ছিল মনে গাঁথা
শিলাবৃষ্টির উদ্দাম মাতনে
অঝোর ধারা বর্ষার বরিষণে
আমরা খেলেছি আমরা নেচেছি
ঝরনা ধারায় কত না ভিজেছি
শুক্লা তিথির পূর্ণিমার চাঁদ
আলোক বন্যায় করিত খেলা
ছুটির দিনেতে গল্পে আর গানে
কেটে যেত সারা নিশি বেলা।
স্নিগ্ধা হাওয়ায় প্রদীপের শিখা
এলোমেলো হয়ে দুলিত সদা
সোনালি শরতে রোদ মাখা দিনে
কেটে যেত সকালের তন্দ্রা।
সাজিয়া উঠিত আকাশ বাতাস
সাজিয়া উঠিত সবুজ ধরা
মাতিয়া উঠিত তব আরাধনায়
ওগো জগত জননী উমা।
শীতের সকালে বীণা হাতে
শ্বেত বস্ত্রে সরস্বতী সুসজ্জিতা
বিদ্যা বুদ্ধির অধীশ্বরী তুমি
পদ্মাসনা দেবী গো অনিন্দিতা।
মনে পড়ে নব বছরের প্রাতে
নব সাজে নব রঙে
সোমা মিতা সুস্মিতা
সুমনা ববিতা তৃষা
সুসঙ্গীতা পম্পা ও আমি মিলে
করেছি যে কত নাচগান।
শোভনা পাশেই আছে
যদি কোন লাগে কাজে
একবার ডাকো তারে
মন থেকে নিয়ো তার নাম।।