এইদিন ওয়েবডেস্ক,পিলিভীত,০২ অক্টোবর : পিলিভীতের নিউরিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা মুসলিম তরুনী উজমা খাতুন তার হিন্দু প্রেমিক ভগীরথকে বরেলীর অগস্ত্যমুনি আশ্রমে হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেছেন । বৈদিক মতে ওই প্রেমিক যুগলের বিয়ে দিয়েছেন বেরেলির মাধীনাথ এলাকায় অবস্থিত অগস্ত্যমুনি আশ্রমের মহন্ত পণ্ডিত কে কে শঙ্খধর । বিয়ের আগে তরুনীকে গোমূত্র ও গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করেন তিনি । উজমা স্বেচ্ছায় তার নাম পরিবর্তন করে ঊর্মিলা রাখেন । এরপর দু’জনে অগ্নিকে স্বাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ।
অমৃত বিচারের প্রতিবেদনে জানা গেছে,বছর ছাব্বিশের ভগীরথ পিলিভীতের নিউরিয়া থানা এলাকার উল্লাকারি ঢাকিয়া গ্রামের বাসিন্দা । গ্রামে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও বসবাস করে । উজমার ঠাকুমা থাকেন নিউরিয়া শহরের খাব্বাপুর এলাকায় । বছর দুই আগে ঠাকুমার বাড়ি গিয়েছিলেন উজমা । সেই সময় ভগীরথের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । দু’জনে ফোন নম্বরও আদান প্রদান করেন । ক্রমে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন । এরপর প্রায়ই তারা দেখা সাক্ষাৎ করতে থাকেন ।
জানা গেছে,পরে উজমা ও ভগীরথের সম্পর্কের কথা তাদের পরিবার জানতে পারে । দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের হওয়ায় এই সম্পর্ককে তারা মেনে নিতে চায়নি । দুজনের ওপরই বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় । অবশেষে ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ওই প্রেমিক যুগল । মাস পাঁচেক আগে দু’জনে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েন । বিভন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির পর তারা বেরেলির মাধীনাথ এলাকার অগস্ত্যমুনি আশ্রমের মহন্ত পণ্ডিত কে কে শঙ্খধরের নাম শুনতে পান । শেষ পর্যন্ত কে কে শঙ্খধরের দ্বারস্থ হন উজমা ও ভগীরথ । দু’জনেই সাবালক হওয়ায় তিনি বিয়ে দিতে রাজিও হয়ে যান । রবিবার আইনত ও ধর্মীয় রীতি মেনে দুজনের বিয়ে দেন অগস্ত্যমুনি আশ্রমের মহন্ত । তবে উর্মিলা ওরফে উজমা জানিয়েছেন, তার পরিবারের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তার ও তার স্বামীর জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন যে তিনি তার প্রেমিকাকে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন। তিনি স্বামীর কাছেই থাকতে চান ।।
তথ্যসূত্র ও ছবি : সৌজন্যে অমৃত বিচার ।