সময় বড়ো হিসেবী
সেদিন কি সুন্দর করে তুই আমার হাতটা ধরেছিলিস।
বলেছিলিস, একটাই তো জীবন, নাও না
যেথায় যেটুক পাও কুড়িয়ে।
আমি বলেছিলাম, সূর্য তো পড়ন্ত।
সামান্য হেসে তুই দেখালি
গোধূলিরও অনন্য রূপ আছে।
তোর হাত ধরে দেখলাম রাতের তারা খসা,
সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থনা করলাম,
এভাবেই যেন আরো সাতটা জন্ম তোর সাথেই দেখি
গভীর রাতের আকাশ তারায় তারায় ভরা।
একদিন ভোরের শিশির দিয়ে কি সুন্দর বানিয়ে দিয়েছিলিস দুটো হীরের দুল।
কানের লতি উঠেছিল চকমকিয়ে।
নিজেকে দেখেই লজ্জা পেলেম।
তোর সাথেই দেখেছিলাম ভোরের নরম আলোয়
পলাশের রক্তিম অধর মেলে ধরা।
কিন্তু সময় বড়ো হিসেবী
ব্যস্ততার কড়া নাড়ায়
হাতের মুঠোয় ধরা আঙুলগুলো এক এক করে
গেল ছেড়ে।
সময় যে হিসেবী,
রাখিস না কোন খোঁজ।
তবুও আজও আমি তারা খসা দেখি, দেখি
পলাশের পাপড়ির রক্তিম থেকে ফ্যাকাশে হয়ে ওঠা।
পরি শিশিরের দুল।
আসলে হাতটা তুই ছাড়লেও আমার মুঠো তো
আজও আঁকড়ে আছে তোর অদৃশ্য আঙুল।।