এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০২ মে : প্রত্যাশা মতই জয় পেলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারী । পাশাপাশি বিগত লোকসভা নির্বাচনে ভাতার বিধানসভা এলাকা থেকে দলীয় প্রার্থী যত ভোটে লিড পেয়েছিল তার থেকে অনেকটাই বাড়ালেন জয়ের ব্যাবধান । স্বভাবতই এই বিপুল জয়ে উচ্ছ্বসিত বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা । উচ্ছ্বসিত দলের কর্মী ও সমর্থকরা । রবিবার বিকেল নাগাদ শেষ রাউন্ডের গননার ফলাফল প্রকাশ হতেই মানগোবিন্দবাবুকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তাঁর অনুগামীরা ।
ভাতারের এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা ৬৬ বছরের মানগোবিন্দ অধিকারীকে “মানুদা” নামেই চেনেন আপমর ভাতারবাসী । লড়াকু নেতা হিসাবে এলাকায় তাঁর পরিচিতি আছে । বাম জমানায় মূলত মানগোবিন্দবাবুর নেতৃত্বগুণে এরুয়ার পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল । তার পর থেকে এযাবৎ এরুয়ার পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলেই রয়েছে । এছাড়া ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন মানগোবিন্দবাবু । বর্তমানে তিনি ভূমি কর্মাধ্যক্ষের পদে রয়েছেন ।
দক্ষ সংগঠক হিসাবে জেলা জুড়ে সুখ্যাতি আছে মানগোবিন্দ অধিকারীর ৷ গোটা ভাতার ব্লক জুড়েই রয়েছে তাঁর সংগঠন । বিগত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই মানগোবিন্দবাবুকে ভাতারের টিকিট দেওয়ার দাবি উঠছিল । যদিও তখন টিকিট দেওয়া হয় গুসকরার বাসিন্দা সুভাষ মণ্ডলকে । কিন্তু এবারে রাজ্য জুড়ে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত দেখে গড় বাঁচানোর তাগিদে মানগোবিন্দ অধিকারীকেই বেছে নেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শেষ পর্যন্ত দলনেত্রীর এই বিশ্বাসের যোগ্য মর্যাদা দিলেন ভাতার বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারী ।
এবারে পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত আসনেই লড়াইটা ছিল মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে । রবিবার সকালে পোস্টাল ব্যালিটের ফলাফল প্রকাশ হতেই অধিকাংশ আসনে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে জোর টক্কর দেখতে পাওয়া যায় । এদিকে ভাতারে তখন থেকেই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী মহেন্দ্রনাথ কোঁয়ারকে পিছনে ফেলতে শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারী । তারপর রাউন্ডের গননা যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে জয়ের ব্যাবধান । শেষ পর্যন্ত তিনি ৩১৭৪১ ভোটে জয়ী হন । মানগোবিন্দবাবু বলেন,’আমাদের দলনেত্রীর দেখানো পথেই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমি এগিয়ে যাবো। দলের এই জয়ের জন্য ভাতারবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’।