এইদিন ওয়েবডেস্ক,অস্ট্রেলিয়া,২৭ সেপ্টেম্বর : ৪০ টি পোষা কুকুরকে ধর্ষণের পর হত্যা,শিশু নির্যাতনসহ ৬০ টি মামলায় ব্রিটিশ প্রাণীবিদ অ্যাডাম ব্রিটনকে ( Adam Britton) দোষী সব্যস্ত করেছে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরি সুপ্রিম কোর্ট । ৫১ বছরের অ্যাডাম ব্রিটন বিবিসি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতো সংস্থার সাথেও কাজ করেছেন । ওই বিকৃতকাম ব্যক্তি রেকর্ডিং ডিভাইসে সজ্জিত একটি শিপিং কন্টেইনার স্থাপন করেছিল যেখানে তিনি পোষা কুকুরদের ধর্ষণের পর মেরে ফেলতেন । তিনি এই কন্টেইনারের নাম দেন ‘টর্চার রুম’। উল্লেখ্য, পুলিশ এই কন্টেইনার থেকে কম্পিউটার, ক্যামেরা, সেক্স টয় ও অন্যান্য হার্ড ড্রাইভ উদ্ধার করেছে। শুধু তাই নয়, এই কন্টেইনার থেকে শিশু নির্যাতনের কিছু উপকরণও পেয়েছে পুলিশ ।
অ্যাডাম ব্রিটন অল্প বয়সে যুক্তরাজ্য ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ‘কুমির’ প্রেমী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন । ডারউইনে বসবাসকারী, অ্যাডাম ব্রিটন একজন প্রাণিবিদ্যার পাশাপাশি একজন লেখক। তিনি বিবিসি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক দ্বারা নির্মিত প্রকৃতির তথ্যচিত্রেও কাজ করেছেন । অ্যাডাম ১৬ ফুট লম্বা এবং আধা টন ওজনের একটি কুমির রেখেছিলেন,যার নাম তিনি ‘স্মাগ’ রেখেছিলেন । ২০১৪ সাল থেকেই পশুদের প্রতি যৌন আগ্রহ থাকার কথা স্বীকার করেছে অ্যাডাম ব্রিটন । তিনি কেবল নিজের পোষা প্রাণীদেরই সাথেই দুষ্কর্ম করতেন না,পাশাপাশি মালিকদের দ্বারা পরিত্যক্ত কুকুরদের রাস্তা থেকে তুলে এনে নিজের ‘টর্চার রুম’-এ নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মেরে ফেলতেন । সতিনি এমন লোকদের নিশানা করতেন যারা ভ্রমণ বা কাজের কারণে তাদের পোষা প্রাণীদের জন্য সাময়িক আশ্রয় খুঁজতেন । তারপরে ব্রিটেন এই প্রাণীদের নিজের কাছে এনে যৌন ক্ষুধা মেটাতেন ।
অ্যাডাম ব্রিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি এতটাই ভয়ানক ছিল যে প্রধান বিচারপতি মাইকেল গ্রান্ট আদালতে বসে থাকা ব্যক্তিদের বলেছিলেন যে উপস্থাপিত প্রমাণগুলি বিরক্তিকর হতে পারে, তাই জনসাধারণ, সাংবাদিক বা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যারা আদালতের পাবলিক গ্যালারি ছেড়ে যেতে চান তাদের অনুমতি দেওয়া হল ।ব্রিটেনকে আপাতত হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ । মামলার সাজা ঘোষণা হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে । এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে ।।