এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভোপাল,২৫ সেপ্টেম্বর : কংগ্রেসকে এখন কংগ্রেসের নেতারা নয়, শহুরে নকশালরা (Urban Naxals) চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । সোমবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেসকে কার্যত তিনি তুলোধুনো করেন । প্রধানমন্ত্রী বলেন,’কংগ্রেস সব ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে ফেলেছে । কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের নেতাদের কিছু সময় ধরে মুখে তালা লাগিয়ে বসে থাকতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে । কংগ্রেস বর্বাদ ও দেউলিয়া হয়ে গেছে৷ এখন কংগ্রেস নিজের দায়িত্ব অন্যকে দিয়ে দিয়েছে ৷ কংগ্রেসকে এখন কংগ্রেসের নেতারা চালাচ্ছে না,এখন কংগ্রেস এমন এমন একটা কোম্পানি হয়ে গেছে যে সব কিছুই আউটসোর্স করছে । আর এই দায়িত্ব কাকে দিয়েছে জানেন ? কংগ্রেসকে এখন শহুরে নকশালিদের ঠিকা (contract)দিয়ে দেওয়া হয়েছে । কংগ্রেসে এখন আর্বান নকশালিদের কথাতেই চলে । তৃণমূল স্তরের সমস্ত কংগ্রেস কর্মী এটা উপলব্ধি করতে পারছেন । সেই কারনে কংগ্রেসের ভিত ক্রমাগত আলগা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,’কংগ্রস সরকার ক্ষমতায় এলে মধ্যপ্রদেশকে আবার অসুস্থ করে দেবে। যে যে রাজ্যে কংগ্রেসের শাসন চলছে সেই রাজ্যগুলিকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে কংগ্রেস । মধ্যপ্রদেশকে অসুস্থ করে দেওয়ার পিছনে দায়ী কংগ্রেস। আমরাই আবার সুস্থ করে তুলেছি।’
প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করে বলেন,’গণতন্ত্রকে নিজেদের পরিবারের মধ্যে বেঁধে ফেলেছিল কংগ্রস। দেশকে গরিবির দিকে ঠেলে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস কখনই চায়নি দেশের অবস্থার পরিবর্তন হোক। কংগ্রেস নেতাদের জন্য, দরিদ্র কৃষকের খামার হল একটি ফটো সেশনের মাঠ, যেখানে বিজেপি সরকার ভারতকে মহিমান্বিত করছে এবং বিশ্বকে সেই চিত্র দেখাচ্ছে। এটাই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য । ৫০ বছর আগে গরিবি হাটাও স্লোগান দিয়েছিল কংগ্রেস। সত্যি কি তা বাস্তবে করছে। ১৩.৫ কোটি মানুষের গরিবি ঘুচিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের অর্থই খারাপ শাসন ও কুনীতি। যে যে রাজ্যগুলিতেই কংগ্রেস শাসন করেছে সেগুলিকে দুর্নীতির আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে ।’
কথায় কথায় কেন্দ্র সরকারের নীতির সমালোচনা করা কংগ্রেসকে এদিন তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে প্রধান বলেন,’সবসময়ই ভালো কাজের খুঁত ধরেছে কংগ্রেস। ইউপিএর সমলোচনা করেছে। আর বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি কত সহজে আর্থিক লেনদেন সম্ভব হচ্ছে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে। শুধু একটি নয়, এর অনেক উদাহরণ রয়েছে ।নতুন ভারত যাই করুক, যত বড় অর্জনই করুক না কেন,কংগ্রেস তা মোটেও পছন্দ করে না।’
মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন,’কংগ্রেস এবং তার জোট নারী শক্তি বন্দন আইনকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশসহ সারা দেশের মা, বোন ও কন্যাদের সতর্ক করতে চাই ।’।