এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০১ মে : মূল সড়ক পথের পাশে কাঁচা রাস্তার উপরে ঠায় বসে এক যুবক । পাশে বাঁশের বেড়ায় ঠেসান দিয়ে রাখা একটি প্লাকার্ড । তাতে লাল কালিতে লেখা “মমতা,আমার ৮ বছরের ভালোবাসার দাম দাও । আমি বিচার চাই । ভালোবাসার দাম চাই ।” বেড়ায় ঝোলানো অন্য আর একটি প্লাকার্ডে সাঁটা রয়েছে যুগলের রঙীন ছবি । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গোটা দেশ জুড়ে যখন কার্যত সুনামীর আকার নিয়েছে । এরাজ্যে চলছে আংশিক লকডাউন । এই পরিস্থিতিতে এক যুবকের এহেন ধর্ণা প্রদর্শনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা জেলার বামনগোলার পাকুয়াহাট অঞ্চলের কামারডাঙা গ্রামে । ধর্ণাস্থলের কিছুটা পাশেই প্রেমিকার বাড়ি । তবে দেখা মেলেনি প্রেমিকা বা তাঁর পরিবারের লোকজনের । শনিবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষন ধরে যুবকের ধর্ণা প্রদর্শন চললেও পুলিশকেও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়নি।
জানা গেছে,ধর্ণা প্রদর্শনকারী যুবকের নাম সঞ্জয় মণ্ডল । তাঁর বাড়ি বামনগোলার পাকুয়াহাট অঞ্চলের মির্জাপুর গ্রামে । সঞ্জয় জানিয়েছেন, তাঁর গ্রামের পাশের গ্রাম কামারডাঙার বাসিন্দা মমতা দাসের নামে এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক । কিন্তু তাঁদের বিয়েতে মত দিচ্ছে না মমতার বাড়ির লোকজন । এদিকে বাড়ির লোকজনের চাপে তাঁর প্রেমিকাও বেঁকে বসেছে । তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জানতে পারি মমতার বিয়ে অন্যত্র ঠিক করা হয়েছে । তাই এদিন প্রথমে মমতার সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলাম । কিন্তু কারোর দেখা পাইনি । তাই ভালোবাসা ফিরে পেতে মমতার বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসতে বাধ্য হয়েছি ।’
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল ৯ নাগাদ কামারডাঙা গ্রামে ওই যুবতীর বাড়ির অদূরেই ধর্ণায় বসে পড়েন সঞ্জয় মণ্ডল ৷ পাশে ঝোলানো দুটি প্লাকার্ড । প্লাকার্ডে লেখা ভালোবাসা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন । কাঠ ফাটা রোদের মধ্যে এক যুবকের এই প্রকার ধর্ণায় নজর কাড়ে এলাকাবাসীর । যুবককে ঘিরে জমে যায় ভিড় । তীব্র রোদ থেকে উঠে আসার জন্য সংলগ্ন পাড়ার মহিলারা তাঁকে অনুরোধ করেন । তবে মহিলদের কথায় কর্ণপাত করেননি নিজের দাবিতে অনড় ওই যুবক । ধর্ণাকারী যুবক জানিয়েছেন, ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার আশ্বাস পেলে তবেই তিনি বাড়ি ফিরবেন । অন্যথায় তিনি তাঁর প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্ণা চালিয়ে যাবেন ।।