এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৩ সেপ্টেম্বর : তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ‘নোংরা মুখ'(foul mouthed)-এর সাংসদ বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য । আসলে লোকসভার অধিবেশনের সময় বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরী বক্তব্য রাখার সময় বিএসপি সাংসদ দানিশ আলী তাঁকে বাধা দেন । এরপর দানিশ আলীকে উদ্দেশ্যে করে রমেশ বিদুরী ‘উগ্রবাদী’, ‘মুল্লা’ প্রভৃতি শব্দ প্রয়োগ করেন । আর এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে বিরোধী দলগুলি । তবে সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র । তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ‘এক্স’-এর পাশাপাশি সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছেও এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ।
পিটিআইয়ের কাছে মহুয়া মৈত্র বলেছেন,’ওম বিড়লাজির প্রতি কথায় সংসদের মর্যাদা, সংসদের গরিমার কথা গোটা ভারত শুনতে পায় । আমাকে ‘নোওও সিট ডাউন’, ‘নোওও সিট ডাউন’, বলে অনেকবার থামিয়ে দিয়েছে । কিন্তু যখন বিদুরিজি এই সব গালাগালি দিল, ওগুলো হেট স্পিচ ছিল । আমি ‘হারামি’ বলে অসংবিধানিক হতে পারে, কেউ কাউকে ‘ইডিয়ট’, ‘চোর’ বললে অসংবিধানিক হতে পারে,কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে ‘মুল্লা’,’কাটুয়া’ বললো অথচ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হল না কেন?’
সেই সঙ্গে তিনি ‘এক্স’-এ লিখেছেন,’আমি লজ্জিত যে সংখ্যালঘুরা লোকসভা কক্ষে ঘৃণামূলক বক্তব্যের শিকার হয়েছে। কিন্তু আমি খুশি ভারতের জন্য বিজেপির আসল রং উন্মোচিত হয়েছে। রমেশ বিধুরি সমস্যা নয়, নরেন্দ্র মোদির ঘৃণার বাস্তুতন্ত্রই সমস্যা।’
এদিকে মহুয়া মৈত্রর বক্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য ‘এক্স’-এ লিখেছেন,’বিদ্রুপ লক্ষ বার মারা গেছে, যখন মহুয়া মৈত্র, নোংরা মুখের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি, যিনি নিয়মিত সহকর্মী সংসদ সদস্যদের উপর সাম্প্রদায়িক তিরস্কার করেন, তিনি এখন দানিশ আলীর জন্য চোখের জল ফেলছেন । তিনি সকলের সামনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে উপহাস করেছিলেন এবং তাকে “ছোটিওয়ালা রাক্ষস” বংশের অন্তর্গত বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং নিয়মিতভাবে “গৌ মুত্র” সেবনকারী বলেছিলেন ….।যেন এটি যথেষ্ট ছিল না ।’ তিনি আরও লিখেছেন,’, রাহুল গান্ধী, একজন সিরিয়াল অপরাধী, যিনি সমস্ত মোদিকে “চোর” বলে ডাকতেন, তার সদস্যপদ হারিয়েছিলেন এবং এখনও মুক্ত হননি,আলির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ।’ তিনি আরও লিখেছেন,’যারা ‘মোহব্বত কি দুকান’ করেছে তারাই ঘৃণা ছড়াচ্ছে৷’