এইদিন ওয়েবডেস্ক,ব্রিটিশ কলম্বিয়া,২৩ সেপ্টেম্বর : কুখ্যাত খালিস্তানি সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারতকে দায়ি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো । যদিও তিনি এযাবৎ তার দাবির স্বপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ সামনে আনেননি । যেকারণে ট্রুডোকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । এদিকে ট্রুডোর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের প্রিমিয়ার ডেভিড এবি একটি বড় অভিযোগ তুলেছেন । তিনি বলেন,’প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজ্জার হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যা বলেছেন, তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে, মানুষ ইতিমধ্যেই তা জেনে গেছে। ট্রুডোর কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই ।’
সিবিসি নিউজ অনুসারে, এবি বলেছেন যে তিনি দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করছেন যে কানাডিয়ান সরকার এমন তথ্য গোপন করতে পারে যা প্রদেশটিকে বিদেশী হস্তক্ষেপ থেকে ভারতের সাথে সম্পর্কযুক্ত তার জনগণকে(খালিস্থানিদের) রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে। তিনি আরও বলেন যে কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু আমাদের সাথে ভাল তথ্য শেয়ার করা হয়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবারেও নিউইয়র্কে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের সময় ট্রুডো ফের তার দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। যখন তাকে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বারবার বলেছিলেন যে নিজ্জারের মৃত্যুর সাথে ভারত জড়িত ছিল বলে বিশ্বাস করার ‘বিশ্বাসযোগ্য কারণ’ রয়েছে । যদিও ভারত ট্রুডোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তার এই অভিযোগ ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে ।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এই ‘উদ্ভট’ দাবির পর ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে । ইতিমধ্যে কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ভারত । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কানাডার ভিসা পরিষেবা । ভারত ও কানাডার সম্পর্কের অবনতি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে । এছাড়া পর্যটনের মাধ্যমে যে আয়, পড়াশোনা করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে আয় কানাডা করে ট্রুডোর এই বয়ানের পর তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে ।।