এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,২২ সেপ্টেম্বর : ফের এক দুষ্কৃতীকে এনকাউন্টার করল উত্তরপ্রদেশে পুলিশ । আনিস খান নামে ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এক মহিলা কনস্টেবলকে নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগ ছিল । জানা গেছে,গত ৩০ আগস্ট আনিস খান ট্রেনে এক মহিলা কনস্টেবলকে নির্মমভাবে মারধর করে । রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ওই মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে ভর্তি করে । তার মুখে ও মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্নও ছিল। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ।
উত্তরপ্রদেশের বিশেষ ডিজি (আইন শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন,’চলতি বছরের ২৯-৩০ আগস্ট রাতের দিকে অযোধ্যায় সরায়ু এক্সপ্রেসে একজন মহিলা কনস্টেবলকে আহত করার ঘটনা ঘটেছিল । অযোদ্ধা কেন্ট জি আরপি থানায় আইপিসির ৩৩২,৩০৭, ৩৫৪, ৩৯৪ ধারায় এফ আইআররজু করা হয়েছিল ।’ তিনি আরও বলেন,’দুষ্কৃতীদের ধরতে এসটিএফ এর দল চেষ্টা চালাচ্ছিল । এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অযোদ্ধা পুলিশ ও এসটিএফ এর দল ইনায়েত নগর থানা এলাকার একটি জায়গায় অভিযান চালায়। দূষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় । আত্মরক্ষার জন্য পালটা গুলি চালায় পুলিশ । দু’জন দুষ্কৃতীর গায়ে গুলি লাগলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় । তৃতীয় দুষ্কৃতী সেখান থেকে পালিয়ে যায় । তাকে ধরতে লাগাতার অভিযান চালানো হয় । অবশেষে তাকে কলন্দর থানা এলাকায় তার হদিশ পাওয়া যায় । তাকে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হয়েছিল । কিন্তু সে পুলিশের উপর গুলি চালাতে শুরু করে । আত্মরক্ষার জন্য পুলিশের পালটা গুলি চালালে সে জখম হয় । দ্রুত তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু হায়দ্রাগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ খানের ছেলে আনিস খানের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় । বাকি দুই অভিযুক্ত হায়দারগঞ্জের বাসিন্দা আজাদ ও সুলতানপুরের বাসিন্দা বিষম্ভর দয়াল দুবে আহত হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে ।’।