এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোল্লাম(কেরালা),১৯ সেপ্টেম্বর : স্ত্রী অজানা রোগে আক্রান্ত । প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন তিনি । তার জেরে স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারল স্বামী । স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পরে সে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় । ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার কোল্লামের পারিপল্লী এলাকায় । মৃতার নাম নাদিরা । তার বাপের বাড়ি কর্ণাটকের কোটকে । ঘাতক স্বামীর নাম রহিম । সে পরিপাল্লী ইস্ট নেলার স্থানীয় বাসিন্দা । পরিপাল্লীর একটি অক্ষয় কেন্দ্রে কাজ করতেন নাদিরা । তার কর্মস্থলে গিয়ে তাকে পুড়িয়ে মারে রহিম । জানা গেছে,স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে জেলে ছিল ওই ব্যক্তি । দিন চারেক আগেই সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল । জেল থেকে ছাড়া পেতেই সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় ।
জানা গেছে,নাদিরাকে হত্যার দিন হেলমেট পরে অক্ষয় কেন্দ্রে গিয়েছিল রহিম । সেই সময় নাদিরা নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন । আর তখনই নাদিরার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় রহিম । তারপর সে একটা ছুরি নিয়ে অন্যদের ভয় দেখিয়ে অক্ষয় কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় । নাদিরার মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে জেনে রহিম পঞ্চাশ মিটার দূরে একটি বাড়ির কুয়ায় ঝাঁপ দেন । দমকলবাহিনী এসে তাকে টেনে তোলে । অবশ্য তার আগেই মৃত্যু হয় রহিমের ।
সংবাদমাধ্যম মনোরমার প্রতিবেদনে জানা গেছে, দিন কয়েক আগে এসকেভি স্কুলের কাছে ভাড়া বাড়িতে আসেন ওই দম্পতি । স্থানীয়রা জানায়, সন্দেহভাজন অসুস্থতার কারণে রহিম প্রায়ই নাদিরাকে মারধর করত । এর আগে নাদিরাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল রহিম । একারণে তাকে জেলেও যেতে হয় । চার দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রহিম নাদিরাকে ফের হত্যার হুমকি দিতে শুরু করে । শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারল ওই ব্যক্তি ।
আঠারো বছর আগে কোটকের বাসিন্দা নাদিরা ও পূর্ব নেলার বাসিন্দা রহিমের বিয়ে হয়। এই দম্পতির পনের এবং তেরো বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে । মূলত মায়ের উপার্জনের ভরসাতেই দুই নাবালকের জীবন চলত । এখন মায়ের মৃত্যুতে কার্যত পথে বসেছে তারা ।।