এইদিন ওয়েবডেস্ক,বারাণসী,১২ সেপ্টেম্বর : জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা হিন্দু ধর্মাবলম্বী দুই রাষ্ট্রপ্রধানের স্বধর্মের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা দেখলো ভারতবাসী । ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এর আগে বলেছিলেন যে তিনি হিন্দু হওয়ার জন্য গর্বিত । সম্মেলনের ফাঁকে সস্ত্রীক দিল্লির অক্ষরধাম মন্দির পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন সুনক । তিনি ছাড়াও আরও এক হিন্দু রাষ্ট্রনেতা স্বধর্মের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা দেখালেন । তিনি হলেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগন্নাথ (Pravind Kumar Jugnauth) ।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ যোগদানের পর সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সস্ত্রীক বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ ধামে যান তিনি । বাবা বিশ্বনাথকে পূজা দেন । তার আগে তিনি দশাশ্বমেধ ঘাটে তাঁর শ্বশুরের আত্মার শান্তির জন্য আচার অনুষ্ঠান করেন । এরপর মণিকর্ণিকা ঘাটে চিতাভস্ম বিসর্জন করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সকাল ১১টায় বারাণসী বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথ। সেখানে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মন্ত্রী অনিল রাজভর তাকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি তাজ হোটেলে চলে যান। সেখানে যাওয়ার পথে স্কুলের শিশুরা হাতে পতাকা নিয়ে ঐতিহ্যবাহী গান ও নাচে তাকে স্বাগত জানায় । পরে তিনি পরিবার নিয়ে দশাশ্বমেধ ঘাটে পৌঁছান। যেখানে তিনি তার শ্বশুর ও স্ত্রীর সাথে তার শ্বশুরের আত্মার শান্তির জন্য পূজা করেন। তারপর নৌকায় চড়ে যান মণিকর্ণিকা ঘাটে। এখানে তিনি ঘাটের সামনে ভাগিরথীর জলে শ্বশুরমশাইয়ের চিতাভস্ম বিসর্জন দেন । এরপর তিনি শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পৌঁছান। মন্দিরে ৬০ জন বটুকা ও ডমরুর দল বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে ডমরু বাজিয়ে তাকে স্বাগত জানান । মন্দিরে পৌঁছে শ্রী কাশী বিশ্বনাথ করিডোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুনীল ভার্মা মন্দিরের একটি কাঠের মডেল মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথকে স্মারক হিসেবে উপহার দেন।
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের পূর্ব পুরুষরা ‘আহির’ বর্ণের ছিলেন । আদি বাড়ি ছিল উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার রাসদার এলাকায় । ১৮৭৩ সালে জলপথে কলকাতা থেকে মরিশাসে গিয়েছিলেন প্রবিন্দ জগন্নাথের পূর্বপুরুষরা । ওই বংশের পঞ্চম প্রজন্ম হলেন প্রবিন্দ জগন্নাথ । বর্তমানে তিনি মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী । প্রবিন্দ জগন্নাথ ভারতে নিজের বংশের লোকজনের সাথে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধও করেছিলেন। এরপর শুরু হয় তার পূর্বপুরুষের খোঁজ । কিন্তু উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার রাসদার এলাকায় তার বংশের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি ।।