নীহারিকা মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),১১ সেপ্টেম্বর : একদিন যে এলাকার মানুষ বোমের শব্দ শুনে ঘুমাতে যেত অথবা আতঙ্কে সারারাত জেগে থাকত এবং পাখির কিচিরমিচির শব্দের পরিবর্তে বোমের শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠত সেই মঙ্গলকোটে ঘটে গেছে আমূল পরিবর্তন। হাতে বোমার পরিবর্তে বিকেলে ছেলেদের দেখা যায় লালডাঙা মাঠে বল পায়ে অনুশীলনে মত্ত হতে। কখনো কখনো প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্টে মাতিয়ে বেড়াচ্ছে খেলার মাঠ। সৌজন্যে স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী ও মঙ্গলকোট থানার আইসি পিণ্টু মুখোপাধ্যায়।
এলাকার ছেলেদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য রবিবার মঙ্গলকোট থানার পরিচালনায় লালডাঙ্গা ক্রীড়াঙ্গনে আট দলীয় অনুর্দ্ধ ১৬ ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বের খেলায় গণপুর নরেন্দ্র স্মৃতি ফুটবল ক্লাব ২-০ গোলে শঙ্করপুর ফুটবল দলকে পরাজিত করে বিজয়ীর শিরোপা লাভ করে।টানটান উত্তেজনা পূর্ণ খেলায় বিজয়ী দল উভয় অর্ধে একটি করে গোল করে। প্রতিযোগিতাটি ঘিরে এলাকার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যায়।
খেলার শেষে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উভয় দলের অধিনায়কের হাতে একটি করে সুদৃশ্য ট্রফি ও নগদ আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখোপাধ্যায় সহ এলাকার বহু ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। প্রত্যেকেই থানার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
পিণ্টু বাবু বললেন, আমাদের লক্ষ্য এলাকার বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের মাঠমুখী করা। এরফলে তারা যেমন মোবাইল আসক্ত থেকে মুক্ত হবে তেমনি তাদের শরীরচর্চা হবে। ফলে সমাজের সঙ্গে সঙ্গে তারাও উপকৃত হবে। অন্যদিকে মঙ্গলকোট থানার এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বললেন – সত্যিই এটা খুব ভাল উদ্যোগ। এরফলে সমাজে পরিবর্তন আসবে। খেলার মাঠ ছেলেদের নিয়মানুবর্তিতা শেখায়। একইসঙ্গে ক্ষুদে ক্রীড়াবিদদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি তাদের পাশে থাকার ও সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।।