এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১১ সেপ্টেম্বর : রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । এবার প্রকাশ্য জনসভায় আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারকে “সবচেয়ে নোংরা লোক”-এর তকমা দিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী তথা প্রাক্তন জেলাপরিষদ সদস্যা কাকলী রাজা । শুধু তাইই নয়, তিনি বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে “শুয়#র#চ্ছা” বলে তোপ দাগেন । অনুমান যে ওই নেতা হলেন আদপে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা ব্যবসায়ো শেখ আবদুল লালন । এদিকে দলীয় বিধায়ক ও এক নেতার উদ্দেশ্যে এক তৃণমূল নেত্রীর এই প্রকার নজিরবিহীন আক্রমণ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে । যদিও এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ মুখ খোলেননি ।
জানা গেছে,রবিবার বিকেলে আউশগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ গোষ্ঠীর পক্ষ স্থানীয় এড়াল গ্রামে একটি জনসভা করা হয়েছিল । ওই সভায় কাকলী রাজার পাশাপাশি উপস্থিত হয়েছিলেন রামকৃষ্ণ ঘোষ,আউশগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলী, এড়াল অঞ্চল তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল পাল, ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূল নেতা অরূপ মির্ধা প্রমুখ ।
সভায় বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূল নেতারা বিধায়ক ও বিধায়ক গোষ্ঠীর নেতাদের প্রতি ক্ষোভ উপরে দেন । তবে সবাইকে ছাপিয়ে যায় তৃণমূল নেত্রী কাকলী রাজার বক্তব্য । বক্তব্যের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে ছিলেন কাকলীদেবী । তিনি বলেন,’আমরা যাকে নির্বাচিত করেছি সে আজকে টাকার কাছে বিকিয়ে গেছে । আমার তাকে বিধায়ক বলতে ঘেন্না লাগে । যদি সাংবাদিকেরা লেখে,লিখুক । আমি হাজার বার বলবো,আমার পাওয়ার কিছু নেই । পশ্চিমবঙ্গে আমাদের বিধায়কদের মধ্যে সবচেয়ে যদি কেউ নোংরা বিধায়ক থাকে তবে সে আউশগ্রাম ২ নম্বরের বিধায়ক । আমি জোর গলায় বলছি । আমার হারাবার কিছু নেই,পাওয়ারও কিছু নেই । তৃণমূল যদি আমাকে বহিষ্কার করে করুক,আমি হাসিমুখে দল থেকে বেড়িয়ে যাবো । তবুও অন্যায়ের কাছে আপষ করব না ।’
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর বক্তব্য শুনুন 👇
এরপর তিনি নাম না করে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ আবদুল লালনকে উদ্দেশ্য করে বলেন,’সেই কারনে আমি ওই ” শুয়#র#চ্ছা”র কাছ থেকে বেড়িয়ে চলে এসেছি । এতদিন আমি তার সঙ্গে থেকে দলের হয়ে লড়াই করেছি । আজ আমি টিকিট পাইনি বলে কোনো অনুশোচনা নেই । কিন্তু বেইমানদের সাথে ঘর করা যাবে না ।’
সভায় অন্য বক্তারা বিধায়কের বিরুদ্ধে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের দলে এনে বিভেদ সৃষ্টি,দলের পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব না দেওয়া, বিজেপি ও সিপিএম থেকে দলে আসা নেতাদের টিকিট দেওয়া প্রভৃতি অভিযোগ তোলেন । তবে প্রত্যেকেই শেখ আবদুল লালন নামে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ।।