এইদিন ওয়েবডেস্ক,মরক্কো,০৯ সেপ্টেম্বর : শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মরক্কোতে ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১,২০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে । আহতদের মধ্যে শতাধিকের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে মরক্কোর সশস্ত্র বাহিনী ।
শুক্রবার গভীর রাতে উচ্চ এটলাস পর্বতে কম্পন অনুভূত হয় । প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে কঠিন লড়াই করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে ।ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মারাকেচ থেকে প্রায় ৪০ মাইল বা ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইঘিল এলাকায় ।
স্থানীয় সময় রাত ১১.১১ মিনিট নাগাদ আঘাত হানার সময় কম্পনের প্রাথমিক মাত্রা ছিল ৬.৮ , কয়েক সেকেন্ড কম্পন স্থায়ী হয়। মরক্কোর ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং অ্যান্ড অ্যালার্ট নেটওয়ার্ক অবশ্য জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৭.২ মাত্রার ছিল।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, ভূমিকম্পের ঠিক ১৯ মিনিট পরে একটি ৪.৯ মাত্রার আফটারশক রিপোর্ট করা হয়েছিল । তবে মরক্কোর সিসমিক মনিটরিং সার্ভিসের প্রধান লাহসেন মাহনি বলেছেন যে ভূমিকম্পের ফলে দশটি আফটারশক হয়েছে, যার সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল পাঁচ। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।
ভিডিওতে দেখা গেছে যে বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং মারাকেচের বিখ্যাত রেড ওয়ালের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মারাকেচের ওল্ড সিটির কিছু বিল্ডিং, যেখানে ভাঙা গাড়ি এবং ধ্বংসস্তূপের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে ।
ভূমিকম্পটি মারাকেশের পাশাপাশি কাসাব্লাঙ্কা, রাবাত, ফেজ এবং অন্যান্য শহরগুলিতে অনুভূত হয়েছিল । সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের নিকটতম বড় শহর মারাকেচে । এখানের বহু ভবন ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে,রাত ভর স্থানীয় বাসিন্দারা খোলা জায়গায় রাত কাটিয়েছে।ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মারাকেচের পুরনো শহরের প্রাণকেন্দ্র জেমা আল-ফনা স্কোয়ারে একটি মসজিদের মিনার ধ্বসে পড়েছে । দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেছে যে ভূমিকম্পটি আল হাউজ, ওয়ারজাজেট, মারাকেচ, আজিলাল, চিচাউয়া এবং তারউদান্ত প্রদেশে আঘাত হেনেছে । এর আগে ২০০৪ সালে উত্তরের রিফ পর্বতমালায় ভূমিকম্পে ৬,০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ।।