এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,০৮ সেপ্টেম্বর : শুক্রবার সকালে উত্তর প্রদেশের ঘোসি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে ভোট গণনা শুরু হয়েছে । জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’ (আইএনডিআইএ) এর মধ্যে প্রথম বড় নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসাবে দেখা হচ্ছে । ফলে এই আসনের দিকে গোটা দেশের নজর রয়েছে । প্রাথমিক গননা অনুযায়ী এই আসনে সমাজবাদী পার্টি(এসপি)কে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে । প্রথমদিকে এসপি প্রার্থী সুধাকর সিং ৪০৬৭ ভোটে এগিয়ে ছিলেন । তিনি ১৪,২৮৬ টি ভোট পেয়েছেন । যেখানে বিজেপি প্রার্থী দারা সিং চৌহান পেয়েছেন ১০,২১৯ টি ভোট। ২২৪ জন নোটায় (NOTA) বোতাম টিপেছেন ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) উত্তরপ্রদেশের মউ জেলার ঘোসি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোটার উপনির্বাচনে ভোট দিয়েছেন, বিরোধী জোট ‘আইএনডিআইএ’ গঠনের পর রাজ্যের প্রথম নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা। গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনে ঘোসি ৫৮.৫৯ শতাংশ ভোট রেকর্ড করা হয়েছিল । ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতে,৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিধানসভা উপনির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটিং শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে ৫০.৭৭ শতাংশ । জুলাই মাসে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) থেকে ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে আসন জয়ী দারা সিং চৌহানের পদত্যাগের পরে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়েছিল ।
তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) ফিরে এসে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দলের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপনির্বাচনে সুধাকর সিংকে প্রার্থী করেছেন এসপি । ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে, চৌহান বিজেপি প্রার্থী বিজয় কুমার রাজভারকে ২২,২১৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। উপনির্বাচনে, চৌহান এনডিএ মিত্র আপনা দল (সোনেলাল), নির্বল ভারতীয় শোষিত হামারা আম দল (নিষাদ) পার্টি এবং প্রাক্তন এসপি মিত্র সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির সমর্থন পেয়েছেন ।
অন্যদিকে,এসপি প্রার্থী সুধাকর সিং ‘আইএনডিআইএ’ জোট কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী), কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (সিপিআই), রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি), আম আদমি পার্টি (এএপি) এর দ্বারা সমর্থন পাচ্ছেন । ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) লেনিনবাদী (সিপিআই-এমএল)-লিবারেশন এবং সুহেলদেব স্বাভিমান পার্টি থেকেও সমর্থন পেয়েছে এসপি প্রার্থী । এই উপনির্বাচন বিজেপি পরাজিত হলেও সরকারের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না । কারন ৪০৩ সদস্যের রাজ্য বিধানসভায় আরামদায়ক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বিজেপির । তবে এই লড়াই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে একটা সম্মানজনক লড়াই বলে মনে করা হচ্ছে ।।