এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৭ সেপ্টেম্বর : আজ বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’ এবং ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ কে রাজ্য সংগীত করতে বিধানসভায় প্রস্তাব এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার । এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন,’আজকে রাজ্য বিধানসভায় ‘বাংলা দিবস’-এর প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। বিভিন্ন গুণীজন, সাহিত্যিক, বিদগ্ধ পণ্ডিত, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন জাতি-ধর্ম-বর্ণের সম্মাননীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা ‘পয়লা দিবস’ দিনটিকে রাজ্যের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’-এর আখ্যায় আখ্যায়িত করার প্রস্তাব করেছি। পাশাপাশি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সংগীতের জন্য প্রস্তাব করেছি।’
এদিকে এই প্রস্তাবে সই না করার আবেদন জানিয়ে রাজভবনে দরবার করেছে বিজেপি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই প্রস্তাবের পিছনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি ও তাঁর অবদান নষ্ট করা, পশ্চিমবঙ্গ ও দেশভাগের ইতিহাস বিকৃত করা এবং প্রচ্ছন্ন মুসলিম তোষণ কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এদিন বিকেলে রাজভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘১৬ ই আগস্ট হল বিধ্বংসী দিন । যেদিন এখানে ১০,০০০ হিন্দু বাঙালীকে মহম্মদ আলি জিন্না, সুরাবর্দীরা নির্বিচারে কেটেছিল । ওইদিন উনি খেলা হবে দিবস পালন করেন,ওনার লজ্জা থাকা উচিত ।’
তিনি আরও বলেন,’একসঙ্গে লোকসভা বিধানসভার ভোট হতে দিন,২৬ অব্দি যেতে হবে না,২৪ শেই এপাং ওপাং ঝপাং আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং হয়ে যাবে । তিনি পয়লা বৈশাখে এপাং ওপাং ঝপাং করেন, অঙ্কা বঙ্কা শঙ্কা করতে পারেন । আমাদের কোনো আপত্তি নেই । বালির পয়সায়, গরুর পয়সায়, কয়লার পয়সায়,ডিয়ার লটারির পয়সায়, নিয়োগ দূর্নীতির পয়সায় তিনি এটা করতেই পারেন । কিন্তু রাজ্যপাল এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না । আমরা রাজ্যপালের আশ্বাসে খুশি ।’
পাশাপাশি এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী লিখিত ভাষণ পড়া নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মাথার তার কাটা আছে, ও একটা পাগল মুখ্যমন্ত্রী, একটা উন্মাদ। রাকেশ রোশন চাঁদে পাঠিয়েছেন, ইন্দিরা গান্ধি চাঁদে পাঠিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ১৯৪৭ সালে জুস খায়িয়েছেন, কাজী নজরুল ইসলামকে দিয়ে মহাভারত লিখিয়েছেন । তাই তিনি এদিন মেড ইন স্পিচ দিয়েছেন ।’
রাজ্যের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী । এই বিষয়ে তিনি বলেন,’আশাকর্মী,আইসিডিএস কর্মী, ভিলেজ পুলিশ,সিভিক ভলান্টিয়ার, ভোকেশনাল টিচারদের সবার সম কাজে সম বেতন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করুক, আমরা এটাই চাই । আমরা চাই সরকারি কর্মচারী, পুলিশ,শিক্ষক,অবসরপ্রাপ্ত পেনশনারদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা দিক । আমরা চাই ৫০০-১০০০ এর ভাগাভাগি না করে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মাতৃ সম্প্রদায়কে ২,০০০ টাকা করে দিক রাজ্য সরকার । আমরা আমাদের ভাতা বৃদ্ধি চাই না ।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব পেশের সময় আমরা বিধানসভায় ছিলামও না,একতরফা ঘোষণা করা হয়েছে ।’।