এইদিন ওয়েবডেস্ক,মোরাদাবাদ,০৭ সেপ্টেম্বর : পরিচয় গোপন রেখে অনাথ হিন্দু তরুনীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগ উঠল মোরাদাবাদের খুরশিদ নামে এক মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে । দু’বছর লিভ ইন রিলেশনে থাকার পর তরুনী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে বেপাত্তা হয়ে যায় খুরশিদ । সে গোপনে তার মামার মেয়েকে বিয়েও করে ফেলে । এরপর তরুনী তার সন্তানকে নিয়ে খুরশিদের বাড়িতে গেলে তাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) মোরাদাবাদ জংশনে বসে তরুনীকে কাঁদতে দেখে কিষাণ ইউনিয়নের মহিলা শাখার সদস্যরা নির্যাতিতাকে দিয়ে খুরশিদকে ডেকে পাঠিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ।
জানা গেছে,খুরশিদ উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের ভোজপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। দিল্লির একটি ইস্পাত কারখানায় ৭ বছর ধরে কাজ করছিলেন সে । একই কারখানায় দিল্লির উজিরপুরের ওই হিন্দু তরুনী বাসন মাজার কাজ করতেন । তরুনীর মা-বাবা নেই । খুরশিদের নিজের নাম বাবলু বলে পরিচয় দিয়ে তরুনীর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে । তারপর তরুনীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২ বছর ধরে তার সাথে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করে খুরশিদ । মেয়েটি খুরশিদকে বিয়ে করার জন্য বারবার চাপ দিলেও সে বিভিন্ন অছিলায় এড়িয়ে যায় । এদিকে তরুনী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন ।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, তিনি হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে, খুরশিদ তাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে মোরাদাবাদে চলে আসে । সে জানায় শীঘ্রই ফিরে আসবে । কিন্তু ২ মাস পরেও খুরশিদ ফিরে না আসায় তরুনী শিশুকন্যাকে নিয়ে মোরাদাবাদে খুরশিদের বাড়িতে পৌঁছায় । কিন্তু সে ইতিমধ্যেই মামার মেয়েকে বিয়ে করার কথা জানায় । একথা বলে খুরশিদ তাকে ধমক দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় । লিভ ইন পার্টনারের এই ব্যবহারে হতবাক মেয়েটি মোরাদাবাদ রেলজংশনে পৌঁছে অসহায়ভাবে কাঁদতে শুরু করে । কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে নজরে পড়ে যায় স্থানীয় কিষাণ ইউনিয়নের মহিলা শাখার সদস্যাদের । শেষে তাদের তৎপরতায় ধরা পড়ে প্রতারক ।।