মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে
একাকিত্বের প্রেমে ডুবে যাই;
জীবনে অতিথি হয়ে আসুক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হীন একাকীত্ব–
যার উথাল প্রেমের বাহুডোরে
বাঁধা পড়ি– একবার!
কখন যেন মনের ভিতরটাও গুমরে ওঠে
চিৎকার করে বলে–
‘একা হতে দোষ কোথায়?
একবার, শুধু একবার একা হয়ে দেখো, প্রিয়
কত প্রশান্তি নেমে আসে!
অভিমান অভিনয় অবহেলা অপমান অনুশোচনা অপরাধবোধ–
নামক অহেতুক যন্ত্রণাগুলো বিদায় নেয়
কত সহজে
শুধু একা হতে শিখে গেলে–’
প্রেম হারিয়ে মানুষ যখন
কাকভেজা হয়ে পড়ে
হৃদয়ের অঙ্গন জুড়ে বাস করে দহন
বিচ্ছেদের সাইরেন বেজে ওঠে বারবার;
যখন সব ক্ষতের মুখে জমে যায়
জমাটি রক্ত
হৃদয় যেন ফুলে ওঠে
ফেঁপে ওঠে বিরহের রুদ্ধশ্বাসে;
নির্ঘুম চোখের যন্ত্রণা চেপে
পেরিয়ে যেতে থাকে– একটা দুটো তিনটে করে
রাতগুলো, দিনগুলো–
পাহাড়সম ভার নিয়ে– বুকের পাঁজর ভেঙে!
তখন আমলকি বনে
সুচারু জড়তা এসে ভিড় করে
দেবদারু গাছ স্নানে তৃপ্ত হয়
আর বার– চন্দ্রালোকে
রাত্রির গহীন বুক জুড়ে
চলে মিলন উৎসব
প্রাণের উত্থানে সচল হয়ে যায় প্রকৃতির মায়া–
তখনি একবার একা হয়ে দেখো, প্রিয়–
কত সহজে সব ব্যথা
মিলিয়ে পালক হতে পারে–
ভাটার টানে, চাঁদের ঘুমঘোর চোখে,
বিষন্নতার মেদবহুল শরীর বেয়ে!
প্রিয়, একাকিত্ব নিয়ে ভাবি না আর
দু’চোখের নদী মজে গেছে সেই কবেই,
কুঁকড়ে যায় না আমার ‘আমি’টা আর!
–কেন জানো?
কারণ আমি একা থাকতে শিখে গেছি।
আমার বিশুদ্ধ আমি’টা কে বুকে নিয়ে,
এইতো বেশ আছি
একাকিত্বের নিবিড় আলিঙ্গনে!
পারলে এই একাকীত্বটা কে যত্নে ধরে রেখো–
অবহেলা করো না।।