এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৭ এপ্রিল : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় রেল পুলিশের সহযোগিতায় প্লাটফর্মেই সন্তানের জন্ম দিলেন মূর্শিদাবাদ জেলার এক গৃহবধু । এরপর ওই বধু ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে তরিঘরি হাসপাতলে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে কাটোয়া জিআরপি । এদিকে হাসপাতলে পৌঁছনোর কিছুক্ষনের মধ্যেই ফের এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আরজিনা বিবি নামে ওই গৃহবধু । রেল পুলিশের ভূমিকায় খুশি বধুর পরিবারের লোকজন।
জানা গেছে, মুর্শিদাবাদ জেলা শক্তিপুর থানার মিঞাগ্রামে শ্বশুরবাড়ি আরজিনা বিবির । তাঁর স্বামী সিরাজ শেখ জনমজুরির কাজ করেন ।তাঁদের একটি তিনবছরের পুত্রসন্তান রয়েছে । সম্প্রতি ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন আরজিনা । মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি করার জন্য আজিমগঞ্জ-কাটোয়া ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চড়ে কাটোয়ায় আসছিলেন বধুর স্বামী সিরাজ শেখ ও বৌদি রুখসনা বিবি । ট্রেনের মহিলা কম্পার্টমেন্টে ছিলেন আরজিনা ও তাঁর বৌদি। পাশের কামরাতেই ছিলেন সিরাজ ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি সকাল ৯-৩৫ মিনিট নাগাদ কাটোয়া স্টেশনে আসতেই বধুর প্রবল প্রসব বেদনা ওঠে । ফলে বাধ্য হয়ে জিআরপির সাহায্যের জন্য ছোটেন বধুর স্বামী । সেই সময় কাটোয়া রেলস্টেশনে ডিউটি করছিলেন রঞ্জিত ঘোষসহ কয়েকজন জিআরপি কর্মী । রঞ্জিত বাবু সঙ্গে সঙ্গে এক মহিলা কনস্টেবল মধূমিতা মণ্ডলকে ডেকে নিয়ে ওই কম্পার্টমেন্টে যান । তাঁরা আরজিনা বিবিকে নামিয়ে কাটোয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন । কিন্তু প্রসব বেদনায় কাতর ওই বধুর অবস্থা বিবেচনা করে প্লাটফর্মের একটি জায়গায় কাপড় আড়াল করে প্রসবের ব্যবস্থা করা হয় । শেষ পর্যন্ত মধূমিতা মণ্ডল ও আরজিনার বৌদির সাহায্যে প্ল্যাটফর্মে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন আরজিনা ।
এরপর প্রাথমিক চিকিৎসার পর বধু ও তাঁর সদ্যজাত সন্তানকে একটি গাড়িতে চাপিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আনার ব্যাবস্থা করে কাটোয়া জিআরপি । হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করার পরেই ফের একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই বধূ । বর্তমানে বধু ও তাঁর দুই সদ্যজাত সন্তান সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাটোয়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল ।।