প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৬ এপ্রিল : বাড়ির সাবমার্সিবলের জল বাহিত পাইপ মুখে গুঁজে দিয়ে শ্বাসরোধ করে নিজের বৃদ্ধা মাকে খুন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল ছেলে । ধৃতের নাম কার্তিক ঘোষ ।মাকে নৃশংস ভাবে হত্যার এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার চাঁপাহাটি গ্রামে। খুনের মামলা রুজু করে নাদনঘাট থানার পুলিশ সোমবার ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতকে চারদিন পুলিশ হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন মৃতের পরিজন ও এলাকাবাসী ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,ছেলে কার্তিকের হাতে খুন হয়ে যাওয়া বৃদ্ধার নাম লক্ষী ঘোষ (৭০)। নাদনঘাটের চাঁপাহাটি গ্রামে তাঁর বাড়ি। কার্তিক পেশায় গ্যারেজ মিস্ত্রি ।
রবিবার দুপুর সাড়ে ৩ টে নাগাদ কার্তিক বাড়ি ফেরে ।দেরিতে বাড়ি ফেরার কারণ কি তা কার্তিকের কাছে জানতে চায় তাঁর বৃদ্ধা মা ,স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে । অভিযোগ তখনই কার্তিক
গালিগালাজ করার পাশাপাশি পরিবারের সবাইকে মারধোর করতে শুরু করেদেয় । ভয়ে কার্তিকের স্ত্রী তাঁর ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় । শুধু পালাতে পারেন নি বৃদ্ধা মা লক্ষীদেবী।সেই সময়ে বাড়ির সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে জল বাহিত পাইপ লাইন নিজের মায়ের মুখে গুঁজে ধরে ছেলে কার্তিক। তার জেরে দমবন্ধ হয়ে বৃদ্ধা মারা যান ।
এই খবর পেয়ে নাদনঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশিঅভিযুক্ত কার্তিককে ধরে থানায় নিয়ে যায় ।
প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানায় ,কার্তিক অত্যন্ত
উশৃংখল ছেলে। নেশা করে বাড়ি ফিরে প্রায়সই সে বাড়িতে অশান্তি করতো ।বাড়ির লোকজনকে মারধোর করতো । রবিবার নিজের মাকেই সে প্রাণে মেরে দেয় । জেরার মাকে খুন করার কথা কবুল কারার পরেই পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে কার্তিক কে গ্রেপ্তার করে । ময়নাতদন্তের জন্য এদিনই বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে পাঠানো হয় বৃদ্ধার মৃতদেহ ।।