প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩১ আগস্ট : কয়লা কারবারী রাজু ঝাকে খুনের ঘটনায় অধরাই রয়েছিল অন্যতম শার্প শুটার কুন্দন কুমার সিং ।ঘটনার পর থেকে পাঁচ মাস ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ একাধীক পড়শী রাজ্য চষে বেড়িয়েও কুন্দনের নাগাল পায় নি।সেই কুন্দন কুমারই এবার
ধরা পড়লো নদীয়ার রাণাঘাটের একটি নামি ব্র্যান্ডের গহনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায়।
বিহারের বৈশালী জেলার কুখ্যাত শার্প শুটার কুন্দন রাণাঘাট কাণ্ডে ধরা পড়তেই নড়ে চড়ে বসেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। শুরু হয়েছে রাজু ঝাকে খুনের ঘটনার মূল মাথা কুন্দন কুমার কে হেপাজতে নেওয়ার তোড়জোড় । জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন ,’কুন্দন কুমার কে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালালেই মিলেযেতে পারে রাজু ঝাকে খুনের মূল চক্রীদের নাম।
কয়লা পাচার মামায় ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ পয়লা এপ্রিল ভর সন্ধ্যায় শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন রাজু ঝা। নিখুঁত নিশানায় পর পর গুলি চালিয়ে
দুষ্কৃতীরা কয়লা কারবারী রাজু ঝার শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়ে পালিয়ে যায় । ঘটনার পর পরই পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষথেকে গঠিত ’ শিট’
রাজু ঝা কে খুনের ঘটনার তদন্তে নামে । পাশাপাশি সিবিআই ও ইডি রাজু ঝা-র খুন হওয়ার ঘটনা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে।
খুনিদের নাগাল পেতে শিটের তদন্তকারী অফিসাররা পড়শি রাজ্য বিহার ,ঝাড়খণ্ড সহ পড়শি জোর দুর্গাপুরেও হানা দেয়। বেশ কিছুদিন ধরে দীর্ঘ সড়ক পথের বিভিন্ন জায়গার সিসিটভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ আততায়ীদের গাড়ির চাকে চিহ্নিত করে । ঝাড়খণ্ডেও পুলিশ তদন্ত যায় । পরে পুলিশ ঘটনায় জড়িত কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করেও কুখ্যাত শার্প শুটার কুন্দন কুমারেকে কিছুতেই জালে পুরতে পারে নি । অথচ এই কুন্দন কুমারই দীর্ঘ দেড় মাস ধরে এই রাজ্যেরই নদীয়া জেলার কল্যানীতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিল রাণাঘাটের গহনার দোকানে ডাকাতির আগে রেইকি করার জন্য ।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ,পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা কেন কুন্দন কুমারের নাগাল পেল না ? জেলা পুলিশ কি কুন্দন কে ধরার ব্যাপারে হাল ছেড়ে দিয়েছিল? নাকি পুলশের চোখে ধুলো দিয়ে এই রাজ্যে অপরাধ সংগঠিত করার জন্য বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী কুন্দন নিজের ভোল পাল্টে ফেলেছিল ? জেলা পুলিশের কোনও কর্তা এদিন এবিষয়ে মুখ খুলতে চান নি। তবে কুন্দন কুমারকে জেরা করলে রাজু ঝা খুনের ঘটনার মূল চক্রীদের নাম যে প্রকাশ্যে চলে আসবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিৎ পুলিশ কর্তারা। সূত্রের খবর ,কুন্দন কুমারকে জেরার প্রশ্ন মালা তৈরিও শুরু করে দিয়েছেন জেলা পুলিশের দুঁধে তদন্তকারীরা ।।