কে বলে সূর্য অস্তাচলে?
মাটির হাহাকারে তুষের আগুনে ধিকিধিকি করে জ্বলে
তাই সে অন্তরালে।
বলুক না যে যার খুশি তাদের মত করে
আমাদেরই দেখাতে হবে পথ যেখানে আমাদের কথা
লেখা আছে জীবন্ত অক্ষরে।
সূর্য সেখানেই আসে আমাদের অন্তরের অন্তস্থলে
শিরা-উপশিরায় জমাট রক্ত উষ্ণতায় পিচ্ছল হয় ফিনকি দিয়ে মাথা তুলে
ভেসে আসে উদাত্ব আহ্বান।
কেন বসে থাকো?
এগিয়ে চলো বিপ্লবের পথ বেয়ে,
বিপ্লব হলো অস্ত্র
দিনের শেষে।
তুমি যোদ্ধা মগজে দিয়েছি মন্ত্র
যজ্ঞের কাঠে জ্বালিয়ে আগুন পোড়াও যত শোষণের চাকা,
নিপিড়ন, উৎপীড়ন যা কিছু আছে স্তব্ধ হবে একা-একা।
ক্ষুধার অন্ন জুটবে পেটে কৃষকের মুখে হাসি
শ্রমিকের ঘামে ঘুরবে চাকা মজুরীতে হবে খুশি।
রাঙা ঠোঁট অন্ধ গলিতে জ্বালবে না আর আলো
পথশিশুদের সজ্জা হবে না পথের বালি ধুলো।
পিতা-মাতার দীর্ঘশ্বাসে ভারি হবে না বৃদ্ধাশ্রম
ধর্মের নামে বজ্জাতি আর জাতপাতে ভয় নয়
মুক্তির আলোয় ঢাকবে আকাশ
পুবের কোনে নতুন সূর্যদয়।
দিনের শেষে ফিরবে ঘরে শান্ত স্নিগ্ধ আাঁখি
তুষের আগুনে সূর্য আর জ্বলবে না ধিকিধিকি।