প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩০ আগস্ট : সালিশী সভায় মারধোরে প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী ও তাঁর সরকারী কর্মচারী ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার অকালপৌষ পঞ্চায়েতের ঝিকড়া এলাকায় । পুলিশ জানিয়েছে ,ধৃতদের নাম রউফ শেখ ও ইউসুফ শেখ। ঝিকড়া গ্রামেই তাদের বাড়ি। মৃত প্রৌঢ় জুমু শেখ একই গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃত ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত হয়। একই দিনে পুলিশ দুই ধৃতকে কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করলে বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,কালনার অকালপৌষ পঞ্চায়েতের ঝিকড়া গ্রামে বসবাস করেন ইউসুফ শেখ। ঢালাই রাস্তা ও জলনিকাশি নিয়ে প্রতিবেশী পরিবারের জুমু শেখের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল। মঙ্গলবার দুই পক্ষকে নিয়ে এলাকায় সালিশী সভা বসে । মীমাংসা চলাকালীন ফের দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি বাঁধে।অভিযোগ ওই সময়েই সেখানে থাকা প্রৌঢ় জুমু শেখ কে ব্যাপক মারধোর করে রউফ শেখ ও তাঁর ভাই ইউসুফ শেখ। মারধোরে মারাত্মক জখম হন প্রৌঢ় জুমু শেখ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বৈদ্যপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই দিন রাতেই প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগে রউফ শেখ ও তাঁর ভাই ইউসুফ শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের পরিবার । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে কালনা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কলকাতা পুলিশে কর্মরত রউফ শেখ এবং অপর সরকারী দপ্তরে কর্মরত তাঁর ভাই ইউসুফ শেখকে ।
নিহতের ভাইপো নজরুল শেখ এদিন জানান, বিবাদের মীমাংসা জন্য মঙ্গলবার দুই রাজনৈতিক দল ও গ্রামের মানুষজনদের নিয়ে গ্রামে সালিশী সভা বসে।মীমাংসা চলাকালীন রউফ শেখ ও ইউসুফ শেখের পরিবার তাকে মারতে আসে।তখন তার কাকা জমু শেখ আটকাতে যায় । ওই সময়
রউফ শেখ ও ইউসুফ শেখ মিলে এলোপাথাড়ি
ঘুসি মারে জুমু শেখের বুকে ।তাতে জখম হয়ে তাঁর বৃদ্ধ কাকা জুমু শেখ গ্রামের ঢালাই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ।তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয় নি। চিকিৎসক জুমু শেখ কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিন পুলিশ ধৃত রউফ শেখ ও ইউসুফ শেখ কে
কালনা আদালতে তোলার সময় তাঁরা দাবি করেন, ‘আমরা দুজনেই সরকারি চাকরি করি।তাই আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।আমরা ওই ব্যক্তির গায়ে হাত দিইনি।” যদিও আদালতে ধৃতদের এই দাবি মান্যতা পায়নি ।’।