প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩০ আগস্ট : নদীয়ার পর এবার পূর্ব বর্ধমান ।সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে নেমে সেন্টারিংয়ের তক্তা খুলতে গিয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের । গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক শ্রমিক। এই ঘটনায় বুধবার দুপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার সণ্নিকটের বিশ্বাস পাড়ায় । পুলিশ মৃত শ্রমিক সোয়েদ আলীর দেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় অপর শ্রমিক নাজিম মল্লিককে জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে অতনু ঘোষ নামে এক শিক্ষক জামালপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিশ্বাস পাড়ায় বসবাস করেন। নিজের বাড়ির এক জায়গায় তিনি কয়েকদিন আগে রাজমিস্ত্রি দিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করান।স্থানীয়
হিরন্য গ্রাম নিবাসী বছর চল্লিশ বয়সী দুই শ্রমিক
এদিন বেলায় ওই শিক্ষকের বাড়িতে যান সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢালাইয়েয় তক্তা খোলার জন্য ।দুপুর নাগাদ সোয়েদ আলী সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নেমে ঢালাইয়ের পাটা খোলার কাজ শুরু করেন ।
কিছু সময়েয় মধ্যে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে সোয়েদ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। অনকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে অপর শ্রমিক নাজিম মল্লিক সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নামেন। তিনিও শারীরিক ভাবে অসুস্থতা অনুভব করে আর্ত চিৎকার শুরু করেন । তা শুনে ওই শিক্ষক সহ প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দুই শ্রমিককে উদ্ধারের কাজে হাত লাগায় ।খবর পেয়ে ওই শ্রমিকদের দলের প্রধান রাজমিস্ত্রি সুকুমার হালদারও ঘটনাস্থলে পৌছান । সবাই মিলে অনেক কসরত করে দুই শ্রমিককে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান ।সেখানে চিকিৎসক সোয়েদ আলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শারীরিক অবস্থা সংকট জনক থাকায় অপর শ্রমিক নাজিম মল্লিককে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় । রাজমিস্ত্রি সুকুমার হালদার বলেন,’সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরের ঢালাইয়ের সেনাটারিংয়ের তক্তা খুলতে নেমে আমার দুই শ্রমিকের এমন অবস্থায় হবে তা কল্পনাও করতে পারিনি ।’
প্রসঙ্গত,চলতি বছরে এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে নদীয়ার ভীমপুরে একই রকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে । সেখানেও নবনির্মিত সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরের ঢালাইয়ের তক্তা পাটা খুলতে নেমে শুভেন্দু দে ,সুমন বিশ্বাষ ও অমৃত বিশ্বাস নামে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয় । জামালপুর থানার পুলিল জানিয়েছে,শ্রমিকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই জানা যাবে।।