এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,২৯ আগস্ট : কর্ণাটকে নাশকতা চালানোর ষড়যন্ত্রকারী ৫ সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসী জুনায়েদ আহমেদ খানকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরুর টি.নগর থানার পুলিশ । গ্রেফতার হয়েছে জুনায়েদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং রাজ্যে সন্ত্রাসী সেল সক্রিয় করার কাজে নিযুক্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আরশাদ খানও । খুব অল্প বয়স থেকেই অপরাধ জগতে হাতেখড়ি আরশাদের । ২০১৭ সালে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী নূর আহমেদকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় সে মূল আসামি এবং চার বছর ধরে পলাতক ছিল । একই হত্যা মামলায় জুনায়েদ আহমেদ ছাড়াও পাঁচ সন্ত্রাসী জড়িত ছিল ।
প্রথমে ধরা পড়ে জুনায়েদ । আরশাদ খানকে ধরতে ওৎ পেতে বসে ছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ । শেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২৭ আগস্ট আরটি নগরের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ । পুলিশকে দেখে প্রথমে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আরশাদ খান । তারপর সে ছুরি ফেলে বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে । কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সন্ত্রাসবাদী আরশাদ । পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,আরশাদ খান যখন খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয় তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর । জামিনে বেরিয়ে ফের সে খুনের চেষ্টা, ডাকাতির মতো একাধিক গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ে । বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে মোট ১৭ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে । রাজ্যে নাশকতা চালানোর জন্য সন্ত্রাসী সেলকে সক্রিয় করার বিষয়ে তার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
অন্যদিকে জুনায়েদ আহমেদ খান একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী । ২০০৮ সালের বেঙ্গালুরু সিরিয়াল বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড টি নাজিরের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার সময় পারাপ্পার অগ্রহারা কেন্দ্রীয় কারাগারে মগজ ধোলাই করা হয়েছিল জুনায়েদকে। সে আরও পাঁচজনের সাথে জামিনে বেরিয়ে আসার পরে,শহরে নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সেল সক্রিয় করেছিল বলে জানা গেছে ।।