প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ এপ্রিল : রাজ্য জুড়ে উর্ধ্বমুখী ‘কোভিড ভাইরাস ’ সংক্রমনের গ্রাফ। ভাইরাস সংক্রমণের জেরে এই রাজ্যেও প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে । অতিমারী রুখতে প্রতি মুহুর্তে কোভিড বিধি মেনে চলার বার্তা প্রচার করে চলেছে কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশান। স্টেশান ,বাস স্ট্যান্ড সহ পথে পথে ঘুরে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা ও মুখে মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়ার কথা প্রচার করা হচ্ছে ।কিন্তু এতসব কিছুর পরেও জনগন কিছুতেই যে সচেতন হতে চাইছেন না স্পষ্ট ভাবে রবিবার বিকালে ধরা পড়লো বর্ধমান হাওড়া কর্ড শাখায় ’আপ মসাগ্রাম লোকাল ট্রেনে’। মুখের মাস্ক খুলে ট্রেনের কামরায় বসেই ধূমপান করে গেলেন এক যাত্রী । ব্যবস্থা নেওয়ার কোন রেল পুলিশেরও দেখা মিললো না ।
বর্ধমান- হাওড়া আপ ’মসাগ্রাম’ লোকাল ট্রেন
অন্যান দিনের মতো এদিন বিকাল ৪ টের পর হাওড়া থেকে ছাড়ে।ট্রেনের প্রতিটি কামরাতেই থাকে যাত্রীদের ভিড় ।হাওড়া থেকে ট্রেনের একটি কামরায় উঠে বসেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার ঝাপানডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা লক্ষীনারায়ন হাঁসদা। আগে থেকেই একই কামরায় উঠে জানালার পাশের একটি সিটে বসে ছিলেন ধপ-দুরস্ত পোষাক পয়িহিত মধ্য বয়স্ক এক ব্যক্তি। লক্ষীনাায়ন বলেন ,
ট্রেন কয়েকটা স্টেশান অতিক্রম করার পর যাত্রী ভিড় একটু হালকা হয় ।এর পরেই মুখ থেকে মাস্ক নামিয়ে দিয়ে ট্রেনের সিটে বসেই বিড়ি ধরিয়ে ফেলেন জানালার ধারের সিটে বসে থাকা ওই যাত্রী ।যদিও ওই কামরাতেও লেখা ছিল ,“ট্রেনে ধূমপান নিষিদ্ধ। ট্রেনে ধূমপান আইনত অপরাধ“। লক্ষীনারায়ন বলেন , তিনি সহ কামরায় থাকা অন্য যাত্রীরা সবাই এমনটা দেখে প্রতিবাদে সরব হন। কিন্তু সহ-যাত্রীদের কারুর প্রতিবাদে কান না দিয়ে ওই ধপ-দুরস্ত পোষাক পরিহিত যাত্রীটি ’লজ্জা-সরম’ জলাঞ্জলী দিয়ে ধুমপান করেই চলেন ।পরে প্রতিবাদ জোরদার হতেই ওই ব্যক্তি মাঝপথে একটি স্টেশানে নেমে যান ।ট্রেনে রেল পুলিশ না থাকায় কোভিড অতিমারীর মধ্যেই ট্রেনের কামরায় থাকা সকল যাত্রীদের এমন কোভিড বিধি লঙ্ঘন হজম করতে হয় বলে লক্ষীনারায়ন হাঁসদা জানিয়েছেন।ট্রেনের কামরায় বসে যাত্রীর ধূমপান করা ও কোভিড বিধি না মানার বন্ধ করতে রেল দপ্তর অতি সক্রিয় হোক এমনটাই দাবি তুলেছেন লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা ।।